আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের পর নানা স্বার্থের টানাপোড়েনে জাতীয় ঐক্যে ফাটল তৈরি হয়। সে কারণে এখন একটা কার্যকর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলছে। তবে অংশীপক্ষগুলোর কথা ও কাজের অমিল এই ঐক্যে প্রধান বাধা। জাতীয় ঐক্য প্রশ্নে গতকাল শুক্রবার কালবেলাকে এসব কথা বলেন তিনি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জাতীয় ঐক্যের ডাক নতুন কিছু নয়। এটা সবসময়ের একটা কমন আহ্বান। আমরা রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় জাতীয় ঐক্যের কথা বলি। কিন্তু ঐক্য কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে কাগজে-কলমে কোনো কার্যকর ফর্মুলা আমরা কেউ তৈরি করিনি। বাস্তবে ঐক্য তৈরি হয়েছে সবসময় রাজপথে। ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন-নিপীড়নে এক সময় আমরা সবাই এক কাতারে এসে ঐক্যবদ্ধ হতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি বলেন, এবারের এত বড় একটা রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানও সেভাবেই সম্ভব হয়েছে। বিজয়ের পর সে ঐক্যে নানা স্বার্থের টানাপোড়েনে ফাটল তৈরি হয়। এখন সে রকম কিছুর ছাপ দেখা যাচ্ছে। তাই হয়তো একটা কার্যকর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলছে।
জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে কাদের উদ্যোগী হওয়া উচিত—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি মনে করি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রঐক্য, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর এই ঐক্যের ব্যাপারে বেশি উদ্যোগী হওয়া দরকার। তবে প্রধান দায়িত্ব সরকার নিতে পারে।
ঐক্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া কীভাবে শুরু হতে পারে—এমন প্রশ্নের উত্তরে এবি পার্টির সদস্য সচিব বলেন, প্রথমত, সরকার একটা শক্তিশালী সমন্বয় টিম গঠন করতে পারে। যে টিম প্রত্যেক অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে একটা কমন কনসেপ্ট দাঁড় করাবে। এরপর সবাই মিলে ন্যূনতম পয়েন্টের ভিত্তিতে একটা জাতীয় ঐক্যের সনদ তৈরি করা যেতে পারে, যাতে সবাই স্বাক্ষর করবে এবং মেনে চলতে ও লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
কার্যকর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে কোনো বাধা কিংবা প্রতিবন্ধকতা দেখছেন কি না, এ প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখছি। জাতীয় ঐক্যের প্রধান বাধা হচ্ছে অংশীপক্ষগুলোর কথা ও কাজের অমিল। মুখে ঐক্যের কথা বলে বাস্তবে যদি সেটার জন্য কেউ কাজ না করে, তাহলে তা কখনো সাফল্যের মুখ দেখবে না।’