অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আন্দোলনের মূল বিষয়ই ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা সম্ভব নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির পর কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখেই নতুন নির্বাচন কমিশন কাজ করবে। অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনটা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। অতীতেও ছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে। গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের প্রহসন আমরা দেখেছি। এই সময়ে নির্বাচনের নাম দিয়ে প্রহসন দেখেছি। বর্তমান পরিস্থিতি আরও অন্যরকম। বিশাল একটি গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৫ বছর ধরে কত লোক প্রাণ দিল, কত লোক আহত হলো, কত লোক নিহত হলো, কত লোক গুম হলো, মানুষ সম্পদ হারাল, স্বামী স্ত্রীকে হারাল, স্ত্রী স্বামীকে হারাল, ছেলে বাপকে হারাল, বাবা ছেলেকে হারাল।
তিনি আরও বলেন, শুধু জুলাই-আগস্টে দেড় হাজার লোক শহীদ হলো। ২৫ থেকে ২৬ হাজার লোক আহত হলো। এদের ভোট দেওয়ার দাবি ছিল। এদের রক্তের সঙ্গে ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। কোনোভাবেই করা যাবে না।
নতুন সিইসি বলেন, যার ভোট সে দেবে, এটা সম্ভব অবশ্যই হবে। যত চ্যালেঞ্জই আসুক সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিত দিয়ে ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমি জীবনে কোনোদিন ফেল করিনি। আশা করি, ফেল করব না। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না। কারণ, বিভিন্ন দল নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। ফলে সময় হলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীন একসময় সচিব ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি তাকে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়। এবার তাকে দেওয়া হলো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।