ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র তখন শেখ ফজলে নূর তাপস। ডিএসসিসিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। খাল উদ্ধারসহ বেশ কিছু কাজে নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই মেয়র। ২০২২ সালে তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রায় নয়শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেন। রাজধানীর চারটি খাল উদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প। কিন্তু দুই বছরে প্রকল্পে অগ্রগতি ৫ থেকে ৬ শতাংশ। এর জন্য মেয়রকেই দুষছেন নগর কর্মকর্তারা।
বাস্তবায়ন যতটুকুই হোক, প্রকল্প পরিকল্পনায় ব্যাপক সন্দেহ জেগেছে। প্রকল্পের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, পথচারীদের বিশ্রাম ও শরীরচর্চার জন্য তিনটি খালের পাড়ে শেড নির্মাণ করা হবে। মোট আড়াই হাজার বর্গফুট শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকার বেশি। খোদ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরাই বলছেন, ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার শেড নির্মাণে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেখানে ১৮ কোটি টাকা খরচ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রকল্প পরিচালক খায়রুল বাকের এর ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ‘এই শেড নির্মাণে হেভি মেটাল, ফাইবার অথবা গ্লাস ব্যবহার করার চিন্তা ছিল।’
তা ছাড়া প্রতি ১০০ বর্গমিটার জায়গায় ফুলবাগান করার জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা। আর একেকটি চারার পেছনে খরচ ধরা হয়েছে ৩৫৪ টাকা। ৬০০ গাছে পানি দিতে লাগবে ৬৩টি বালতি। বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি টাকা। চারটি ডাবল কেবিন পিকআপ কিনতে খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একটি ফুডকোর্ট ও কফিশপ তৈরিতে ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এভাবে পুরো প্রকল্পেই ব্যয়ের নামে তুঘলকি কাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন কেনাকাটা ও সংস্কার বাবদ কয়েকগুণ বেশি বিল ধরা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পজুড়ে কেবলই লুটপাটের ছক।
এখানেই শেষ নয়, প্রকল্পে দুটি টয়লেট নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্প তদারকিতে যোগাযোগের জন্য জ্বালানি খরচ বাবদ ১ কোটি এবং লুব্রিকেন্ট খরচ ধরা হয়েছে আরও ১ কোটি টাকা। প্রকল্পের নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কালুনগর খালে ১০২ বর্গমিটার শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের খরচ ৩২ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। জিরানি খালে ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের দুটি শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া মান্ডা খালে ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের ছয়টি শেডের নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার শেড নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে। ঢিমেতালে কাজ চললেও এর দায় নিতে নারাজ প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘সাবেক মেয়র (তাপস) কাজে দেরি করেছেন। তিনি চেয়েছেন খালের জমি উদ্ধার করে খাল আরও বড় করবেন। তাই কাজের অগ্রগতি ৫ থেকে ৬ শতাংশ।’
৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার এ প্রকল্পে প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে খাল উদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি, খাল পরিষ্কার করা, পলি অপসারণ, ঢাল সুরক্ষা ও নিষ্কাশন কাঠামো নির্মাণ, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন, ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, ফুডকোর্ট, শিশুদের খেলার জায়গা, ব্যায়ামাগার নির্মাণ, স্থায়ীভাবে খালের দখল ও দূষণমুক্ত করা, বৃক্ষরোপণ, সবুজায়নসহ সৌন্দর্যবর্ধন। এসব পরিকল্পনা
খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে সুফল মিলবে কতটুকু, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন নগরবিদরা।
শ্যামপুর খাল : শ্যামপুর খালটির দৈর্ঘ্য ৪.৭৮ কিলোমিটার। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাজের সময় স্থাপনা সুরক্ষা ব্যয় ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার, নকশা বাবদ ২৪ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার, ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করতে ১ কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার, খালের নিচে জমে থাকা পলি অপসারণে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৬২ হাজার, ভূমি উন্নয়ন খরচ বাবদ ২ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার, আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালে ২০ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার, ঢাল সুরক্ষায় ২৭ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার, গাড়ি চলাচলের নয়টি স্প্যান লেংথ সেতুর খরচ ৩৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৪ হাজার, অ্যাপ্রোচ রোডে ৬ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার, পথচারীদের জন্য ছয়টি স্প্যান লেংথ সেতুতে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার, পাম্প হাউস ১টিতে ৩১ লাখ ২২ হাজার, বাচ্চাদের জন্য খেলার মাঠ তৈরিতে ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার, ওয়াকওয়ে তৈরিতে ৯ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার, বিদ্যুতের খুঁটি ও সুবিধাদিসহ নান্দনিক বাতি স্থাপনে ২ কোটি ৪৬ লাখ, সবুজায়নসহ ল্যান্ড স্কেপিংয়ে ৫ কোটি ৯৫ লাখ, দৃষ্টিগোচর সুরক্ষা বেষ্টনীতে ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার, নির্দিষ্ট স্থানে ১০০টি ওয়েস্টবিন স্থাপনের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
জিরানীখাল : জিরানী খালের দৈর্ঘ্য ৩.৯ কিলোমিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। কাজের সময় স্থাপনা সুরক্ষা ব্যয় ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। নকশা বাবদ ২ কোটি ৮৬ লাখ, ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করতে ১ কোটি ৩২ লাখ, খালের নিচের পলি অপসারণে ৭ কোটি ৬ লাখ, ভূমি উন্নয়ন কাজের খরচ বাবদ ২ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার, আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালে ৩৬ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার, ঢাল সুরক্ষায় ২৭ কোটি, গাড়ি চলাচলের জন্য ৩২ মিটার ও ২৬ মিটারের দুটি স্প্যান লেংথ সেতুর খরচ ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৭০ লাখ, অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য ৩ কোটি ৩৯ লাখ, পথচারীদের জন্য স্প্যান লেংথ সেতুর খরচ ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার, ফুডকোর্ট ও কফিশপ চারটির জন্য ৯ কোটি ১৩ লাখ ৮২ হাজার, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ তৈরিতে ৯৯ লাখ ৬০ হাজার, ওয়াকওয়ে তৈরিতে ২১ কোটি ৮৩ লাখ ১ হাজার, বৈদ্যুতিক পোল ও সুবিধাদিসহ নান্দনিক বাতি স্থাপনে ১ কোটি ২৫ লাখ, বাইসাইকেলে লেন বাবদ ২ কোটি ৩৮ লাখ, সবুজায়ন ও ল্যান্ড স্কেপিংয়ে ৫ কোটি ৯৫ লাখ, দৃষ্টিগোচর সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরিতে ১২ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার, পার্কিং ব্যবস্থা উন্নয়ন ১টির জন্য ২৯ লাখ ৮১ হাজার, ওয়েস্টবিন স্থাপন ৫০টির জন্য ৪ লাখ ৫০ হাজার, লাইট দর্শনের স্থান ছয়টির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার, ঘাট দুটির জন্য ২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
মান্ডা খাল : মান্ডা খালের দৈর্ঘ্য ৮.৭০ কিলোমিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। কাজের সময় স্থাপনা সুরক্ষা ব্যয় ৬ কোটি ১১ লাখ ১২ হাজার, নকশা বাবদ ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৩৪ হাজার, খালের
ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করতে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার, খালের নিচে পলি অপসারণে ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার, ভূমি উন্নয়ন কাজের খরচ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার, আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালে ৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫৯ হাজার, ঢাল সুরক্ষায় ৫৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার, গাড়ি চলাচলের জন্য ৬টি স্প্যান লেংথ সেতুতে ৪৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার, অ্যাপ্রোচ রোডে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫ হাজার, পথচারীদের জন্য ২২টি স্প্যান লেংথ সেতু খরচ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার, ফুডকোর্ট ও কফিশপ পাঁচটির জন্য ১১ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার, চারটি প্লাজা নির্মাণে খরচ ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ ৭টিতে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার, ওয়াকওয়ে তৈরিতে ৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার, বৈদ্যুতিক পোল ও সুবিধাদিসহ নান্দনিক বাতি স্থাপনে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৭ হাজার, বাইসাইকেলে লেন বাবদ ৪ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার, একটি ফোয়ারার জন্য ১২ লাখ ৫০ হাজার, সবুজায়নসহ ল্যান্ডস্কেপিংয়ে ১৩ কোটি ৩০ লাখ, একটি বাগানে ৬৪ লাখ ৫০ হাজার, দৃষ্টিগোচর সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরিতে ২৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৯ হাজার, পার্কিং ব্যবস্থা উন্নয়ন তিনটির জন্য ৪৪ লাখ ৭২ হাজার, ওয়েস্টবিন স্থাপন ১৭৫টির জন্য ৫ লাখ ২৫০ হাজার, লাইট দর্শনের স্থান ২৭টি তৈরিতে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার, ৬টি ঘাটের খরচ ৬ কোটি ৪৭ লাখ ১৭ হাজার এবং অ্যাম্পিথিয়েটার তিনটির জন্য ৭ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
কালুনগর খাল : কালুনগর খালের দৈর্ঘ্য ২.৪০ কিলোমিটার। এর জন্য বরাদ্দ ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। কাজের সময় স্থাপনা সুরক্ষা ব্যয় ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। নকশা বাবদ ২৩ কোটি ১৭ লাখ,
ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করতে প্রায় ৮২ লাখ, খালের নিচে পলি অপসারণে ৩ কোটি ৪৭ লাখ, ভূমি উন্নয়ন কাজের খরচ ৩০ লাখ ৪০ হাজার, আরসিসি রিটেইনিং ওয়ালে ৮ কোটি ৫১ লাখ, ঢাল সুরক্ষায় ৩ কোটি ৯৪ লাখ, গাড়ি চলাচলের সেতু চারটিতে ১৫ কোটি ৭৭ লাখ, অ্যাপ্রোচ রোড বাবদ ৫ কোটি ৯ লাখ, পথচারীদের জন্য ৪টি স্প্যান লেংথ সেতুর খরচ বাবদ ৩ কোটি ৫০ লাখ, পাম্প হাউস দুটিতে ৬২ লাখ, ফুডকোর্ট ও কফিশপ ১টিতে ১০ কোটি ৩৪ লাখ, বসার জন্য ৮০টি বেঞ্চে খরচ ৫০ লাখ ২০ হাজার, শিশুদের জন্য খেলার মাঠ তৈরিতে ১ কোটি ২৪ লাখ, ওয়াকওয়ে তৈরিতে ৩ কোটি ২৭ লাখ, ৯৬টি বৈদ্যুতিক পোল ও সুবিধাদিসহ নান্দনিক বাতি স্থাপনে ১ কোটি ২৩ লাখ, ফোয়ারা একটিতে ১২ লাখ, সবুজায়নসহ ল্যান্ডস্কেপিংয়ে ৮৪ লাখ, দৃষ্টিগোচর সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরিতে ৫ কোটি ২৯ লাখ, পার্কিং ব্যবস্থা উন্নয়ন একটিতে ২৯ লাখ ৮১ হাজার এবং ওয়েস্টবিন স্থাপন ৫০টিতে দেড় লাখ টাকা।
সব খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল বাকের কালবেলাকে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। সম্প্রতি তাকে প্রকল্প পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মাদ সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া এখনো সবকিছু দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাজারমূল্য থেকে অনেক গুণ বাড়িয়ে ডিপিপি তৈরি করা হতো। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমন ঠিকাদার ও আমলাদের এসব প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ ছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় আমরা ভেবে নিই, কিছু দুর্নীতি হবে; কিন্তু তা যদি চার থেকে পাঁচগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেটা অপরাধ। এই অপরাধের সঙ্গে আমলাসহ যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ধরা হলেও ডিপিপির সঙ্গে যেসব
আমলা-পেশাজীবী জড়িত ছিলেন, তাদের ধরা হয়নি। তারা যদি ছাড় পেয়ে যান, তাহলে নতুন করে যারা পেশাজীবনে আসছেন তারাও মাথার ওপর চেপে বসবেন। সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার।