জাকির হোসেন লিটন ও মনোয়ার হোসেন মান্না
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ এএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে জাতিসংঘে অন্য ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম বিদেশ সফর
গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে জাতিসংঘে অন্য ইউনূস

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আজই ঢাকা ত্যাগ করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব পালন করা নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ এবার নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে সেখানে গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, ড. ইউনূসের বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে। বিশ্ববরেণ্য এই গুণী ব্যাক্তিকে বরণে অনেক দেশের সরকারপ্রধান ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরাও অধীর আগ্রহে রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এতে তিনি দেশে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার আগে অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। গত তিন দশকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে এমন বৈঠক এবারই প্রথম। সবকিছু ঠিক থাকলে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা এ বৈঠকে বসবেন।

জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একসময় শিক্ষকতা পেশায় থাকা ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ওই ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বব্যাপী দ্যুতি ছড়িয়েছেন অনেক আগেই। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ড. ইউনূসের নাম। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাস্কিয়া ব্রুইস্টেন, সোফি আইজেনম্যান এবং হ্যান্স রাইটজের সঙ্গে একত্রে সামাজিক ব্যবসা—গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস প্রতিষ্ঠা করেন। ড. ইউনূসের নতুন, মানবিক পুঁজিবাদের দৃষ্টিভঙ্গির আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন শাখা হিসেবে এই সামাজিক ব্যবসা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক ব্যবসার জন্য ইনকিউবেটর তহবিল পরিচালনা করে এবং কোম্পানি, সরকার, ফাউন্ডেশন এবং এনজিওদের পরামর্শ সেবা দেয়। ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে র্যামন ম্যাগসেসে, ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পান তিনি। ২০০৪ সালে ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া তাকে গত ২৫ বছরে ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচন করে। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। একই বছর টাইম ম্যাগাজিন তাকে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়িক নেতার মধ্যে স্থান দেয় এবং ‘এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক’দের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের ‘প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফরেন পলিসি’ পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে শীর্ষ ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে ড. ইউনূস স্লোভাকিয়ার ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাবের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়াটেক অ্যাওয়ার্ড পান। ২০২১ সালে ক্রীড়া উন্নয়নে তার বিস্তৃত কাজের জন্য অলিম্পিক লরেল পুরস্কার পান তিনি। ২০২১ সালে ড. ইউনূসকে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়। মানব মর্যাদা, সমতা এবং ন্যায়বিচার বৃদ্ধির জন্য তার আলোকিত নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের মানবহিতৈষণা পুরস্কার, শ্রীলঙ্কার মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব খাদ্য ও শান্তি পুরস্কার, সুইজারল্যান্ডর ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট অ্যালামনাই পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক অ্যাকটিভিটিস্ট পুরস্কার, জার্মানির প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, নরওয়ের হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার, ইতালির ম্যান ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব ফোরাম পুরস্কারসহ যুক্তরাজ্য, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স, জর্ডান, ভিয়েতনাম, সুইডেন, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পুরস্কার জমা হয় ড. ইউনূসের থলেতে। তিনিই মাত্র সাতজন ব্যক্তির একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ড. ইউনূস ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের কার্যক্রমকে সমর্থনকারী জনহিতকর সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারাবিশ্বেই জনপ্রিয় ও পরিচিত এক মুখ। তার ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্যদূরীকরণ তত্ত্ব আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তিনি জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ভাষণ দিয়েছেন সিনেটসহ অনেক রাষ্ট্রের আইনসভায়। তবে এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে সম্পূর্ণ নতুনরূপে হাজির হচ্ছেন বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। দেশের দায়িত্ব নিয়েই বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস। তবে এবার তিনি আর অর্থনীতিবিদ হিসেবে নন, একটি দেশের সরকারপ্রধান হিসেবেই তিনি গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও শান্তির বার্তা দেবেন। আর নতুন এই ইউনূসকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে আসা বিশ্বনেতারা।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশের ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে অধিবেশনের ফাঁকে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউনূস-বাইডেন বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ড. ইউনূস আজ ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

জাতিসংঘে কাজ করেছেন—এমন কূটনীতিকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সাধারণত জাতিসংঘ অধিবেশনে তার নির্ধারিত বক্তৃতার দিন সকালে নিউইয়র্কে পৌঁছান। তিনি সেদিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতা দেন। এরপর বিকেলে জাতিসংঘের অধিবেশনে আগত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার ফাঁকে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎ প্রায় বিরল। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনায়ই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কিন্তু গত তিন দশকে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠক হয়নি, যা এবার ঘটতে যাচ্ছে এবং বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সম্মানের। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করে গেছে। তার দুই সপ্তাহের মাথায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। এ ছাড়া সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছেন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা। আর্থিক, সাংবিধানিকসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কারসহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র যেসব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত নিউইয়র্কের আসন্ন বৈঠক তারই ইঙ্গিত বহন করছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. হুমায়ূন কবির কালবেলাকে বলেন, একটা নতুন বাস্তবতার মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে তৈরি হওয়া বাংলাদেশের নতুন সরকার প্রধান হিসেবে তিনি যাচ্ছেন। বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে স্ট্রং (শক্তিশালী) প্রতিনিধি আর হয় না। কারণ ড. ইউনূস নিজে সরকারপ্রধান এবং তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ। বিশ্বনেতাদের কাছে তার আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে। তার মুখ থেকে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শুনলে দেশের প্রেক্ষাপট, বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে এটি কোথায় যাবে, তার একটা ধারণা সবাই পাবে।

ড. হুমায়ূন বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সাইডলাইনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কিছু বৈঠক হবে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নতুন বাস্তবতায় বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হওয়াটা জরুরি ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দেবেন, সেখানে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরা হবে। ছাত্ররা প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কীভাবে সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন এবং মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তার প্রতিফলন থাকবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ড. ইউনূসের বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন ড. ইউনূস। নিজেদের গর্বিত ও মর্যাদাশীল জনগণ হিসেবে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে, সেটিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্ধ্যাটা বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে

অষ্টম শ্রেণি পাসেই আড়ংয়ে চাকরির সুযোগ

সাজেকে আটকেপড়া পর্যটকরা ফিরছেন

সীমান্তে বালুর ভেতর মিলল চিনি

রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার / যাই হোক না কেন, ড. ইউনূসের পাশে থাকবেন সেনাপ্রধান

বার্সায় আসছেন রিয়ালের সাবেক গোলকিপার!

নির্মাতা রাফাত আটক নিয়ে যা বললেন আরেক নির্মাতা

দীঘিনালায় অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের ঘটনায় মামলা

ম্যানসিটির জন্য বড় দুঃসংবাদ, ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির

নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস

১০

নিউইয়র্কে তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক / বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত

১১

দিনমজুরের ছেলে থেকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট, ছিলেন সশস্ত্র বিদ্রোহী

১২

আজ কী ঘটতে যাচ্ছে আপনার সঙ্গে, দেখে নিন রাশিফলে?

১৩

এবার হারলে আর নির্বাচন করবেন না ট্রাম্প

১৪

মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুসহ নিহত ৩

১৫

লেবাননে হামলার মধ্যেই অত্যাধুনিক মিসাইল উন্মোচন করল ইরান

১৬

লেবাননে ওয়াকিটকি ও পেজার বিস্ফোরণের পর ইরানের নতুন সিদ্ধান্ত

১৭

বৃষ্টি নিয়ে বড় দুঃসংবাদ যেসব বিভাগে, আছে ভূমিধসের শঙ্কা

১৮

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক দোকানে, নিহত ২

১৯

২৪ সেপ্টেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

২০
X