মাহমুদুল হাসান
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ এএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সরকারি খরচে

তৈরি হচ্ছে তথ্যভান্ডার
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সরকারি খরচে

জুলাই থেকে শুরু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একপর্যায়ে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এই আন্দোলনে প্রাণ হারায় কয়েকশ ছাত্র-জনতা। আহত হয়ে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা নেন দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে। আহতরা এখনো কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে। শুধু জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক মানুষ। তাদের অনেকের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা লাগছে অনেকের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সরকার চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনের কথা বললেও এর সিংহভাগ রাজধানীকেন্দ্রিক। রাজধানীর বাইরে অনেকে অর্থাভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন না। তাদের একজন বরিশালের তাইজুল ইসলাম সাব্বির। আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হন বরিশালের চরামদ্দী খান ফজলে রব চৌধুরী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার এ শিক্ষার্থী। রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা শেষে অর্থাভাবে তাইজুল গ্রামের বাড়িতে যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছেন। বাম চোখসহ শরীরে তার ২২টি ছররা গুলি লাগে। একটা গুলি চোখের ভেতরে ঢুকে যায়। দেশে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. নিশাত পারভীন বলেন, তাইজুলের চোখের গুলিটা অনেক ভেতরে ঢুকে গেছে। এখন তাকে রক্ষা করতে হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।

জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দেন সাধারণ মানুষও। ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। আন্দোলনে প্রাণহানি ও আহতদের সংখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। এর সঠিক সংখ্যা নিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের কাছে চাওয়া হয়েছে তথ্য। গত বুধবার পর্যন্ত তথ্যে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান ৪৪০ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৮ জনের। আর আহত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৬৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া আগে থেকেই চলছিল। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে এটি আরও জোরালো হয়েছে। এখন কোনো তাড়াহুড়ো না করে সঠিক তথ্য নিরুপণের চেষ্টা করছি আমরা। তবে অনেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। নানা জটিলতায় অনেক প্রতিষ্ঠান হতাহতের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারিভাবে বহন করা হচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

ভারত থেকে এলো ২৪৫০ টন চাল

নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ল দুই কারখানা

উপসচিব বিতর্ক এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের বাস্তবতা 

কিশোরগঞ্জে হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে ২ রোগীর মৃত্যু

আবারও শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী মালদ্বীপের পাসপোর্ট

কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন দাবানলকে ভয়াবহ করছে আরও

ধুম ৪-এ রণবীর

১০

আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার : পলক

১১

পয়েন্ট হারানোর পর গোলকিপারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন গার্দিওলা

১২

লালমনিরহাটে পেট্রল পাম্প থেকে বাস চুরি

১৩

অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে কাজ করছে : আইজিপি

১৪

পুলিশের সাবেক সোর্সকে পিটিয়ে হত্যা

১৫

অপরাধ-বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত কর্মকর্তাকে ধরা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬

দাবানলে প্রাণহানির সর্বশেষ

১৭

ইনজুরিতে বিপিএলকে বিদায় বললেন রাহকিম কর্নওয়াল

১৮

ডেসটিনির এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড

১৯

আনিসুল-দীপু মনিসহ ৯ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার 

২০
X