দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছিল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯। মহামারির প্রভাবে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা ১৭ মাস বন্ধ ছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একপর্যায়ে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান চালু হলেও তা সব শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। এমনকি কোনোরকম পরীক্ষা না নিয়েই উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) ফল ঘোষণা করা হয়, যা ‘অটো পাস’ নামে পরিচিত। এসব কারণে প্রতিটি স্তরেই শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি রয়ে যায়। মহামারির পর এই ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ নানা পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়। তবে গত তিন বছরে একের পর এক সংকটে ধাক্কা খেয়েছে সেই প্রক্রিয়া। সর্বশেষ কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে চলমান স্থবিরতা শিক্ষাক্ষেত্রের নানামুখী সমস্যা আরও তীব্র করবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
আইইআরের সাবেক পরিচালক ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর অন্যতম প্রণেতা অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার প্রভাব স্পষ্ট। আগের শিখন ঘাটতি এখনো পূরণ হয়নি। এটা শিক্ষার্থীদের দোষ নয়। তবে এভাবে যদি শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়, তা জাতির জন্য ক্ষতিকর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিখন ঘাটতি পূরণে উদ্যোগী হওয়া উচিত। আবার শিখন ঘাটতিকে বড় ক্ষতি বলেও মনে করেন না নীতিনির্ধারকরা। এটিও ভয়ংকর।’
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। কারণ যত দেরি হবে, তত বেশি শিখন ঘাটতি দেখা দেবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিখন ঘাটতি পূরণেও কিছু উদ্যোগ থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনের পরিবর্তে একদিন করতে হবে। ক্লাসরুমের পড়ার পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কাজ আদায় করতে হবে। শিক্ষকদের আরও সচেষ্ট হতে হবে। অযথা স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না।’
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারির থাবা থেকে দেশ রক্ষা পেলেও শিক্ষা খাতে বড় ক্ষত রয়ে যায়। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থী আর পড়াশোনায় ফেরেনি। পারিবারিক কারণে তারা ঝরে পড়ে। তাদের বেশিরভাগই মেয়ে। বাল্যবিয়ের শিকার কিংবা শ্রমে যুক্ত হওয়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে ছিল না সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম।
শুধু ঝরে পড়া নয়, করোনাকালে প্রাথমিকের অনেক শিশু পড়তে বা লিখতে ভুলে গিয়েছিল। অন্যান্য পর্যায়েও শিখন ঘাটতি ছিল। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোচিং ও গাইড নির্ভরতা বেড়ে যায়।
এসব সীমাবদ্ধতা দূর করার আগেই দেশে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়। গত বছর শুরু হওয়া এই শিক্ষাক্রম জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। যেখানে তিন থেকে চার বছরেও শিখন ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি, সেখানে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনকালীন দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শিক্ষকরা এ পদ্ধতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। এ ছাড়া এই শিক্ষাক্রম বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন অভিভাবকরাও। ফলে শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নের সর্বোচ্চ ধাপ ‘ত্রিভুজ’ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এজন্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে প্রাইভেট ও কোচিং।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু কালবেলাকে বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন ও অস্বস্তিতে আছেন। শিক্ষায় এখন যে স্থবির অবস্থা, তা যে কোনো মূল্যে কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি বলেন, করোনায় যে শিখন ঘাটতি, তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। ভেবেছিলাম অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এ ঘাটতি পূরণ করা হবে। কিন্তু উল্টো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা হলো। এ ঘাটতির মধ্যেই শুরু হলো নতুন শিক্ষাক্রম, যা শুধু শিক্ষার্থী নয়, অনেক শিক্ষকও বুঝতে পারেননি।’
এদিকে দেশে পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ করিয়ে দেয় সরকার। পরের তিন বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ হলেও এইচএসসি হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আগামী বছরও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। কারণ হিসেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় ২০২০ সালে যে শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত, তারাই আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। কিন্তু এতদিনেও তাদের শিখন ঘাটতি পূরণ হয়নি। সে কারণে ২০২৩ সালের পরীক্ষার জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হবে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে শিক্ষার্থীরা গত তিন বছরে বারবার ভোগান্তিতে পড়েছে। গত বছরের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, তাপপ্রবাহের কারণে অনেক দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সর্বশেষ সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর শুরু হয় কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ৪ জুলাই থেকে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা সমাবেশ, বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন দিলে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে। আন্দোলনে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে গত ১৬ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। মাধ্যমিকের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ও সেমিস্টারের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। দক্ষতাভিত্তিক যে মূল্যায়নের কথা বলা হচ্ছে, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সেরকম ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চলছিল। কিন্তু ১৫ জুলাই পর্যন্ত চারটি বিষয়ের মূল্যায়ন হলেও চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয় বাকি পরীক্ষাগুলো। আবার চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা গত ৩০ জুন শুরু হলেও বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই থেকে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এখন সব শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে এইচএসসির ৮ দিনের পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র বলছে, আগামী ৪ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত যে ৫টি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলো ঠিক সময়ে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে স্থগিত পরীক্ষাগুলো তার পরে নেওয়া হবে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে আছেন অনেকে।
রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাবাসসুম মম। সে কালবেলাকে বলে, ‘আমাদের ২৯ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে ৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো নির্দিষ্ট সময়ে এবং ১১ আগস্ট থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো হবে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আবারও পরীক্ষা পেছানো হতে পারে।’
সে বলে, ‘পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছি। আবার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছি। কিছুতেই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না। নতুন করে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হলেও মনে হয় পরীক্ষা খারাপ হবে। আগের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দিতে যেতে পারব না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নিশাত জাহান বলেন, ‘করোনার কারণে যে কয়েকটি ব্যাচ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আমাদের ব্যাচও রয়েছে। করোনার পর অনার্স শেষ হলেও মাস্টার্স এখনো চলছে। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে আবারও সেশনজটে পড়তে যাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক মাসের মতো বন্ধ থাকলে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই রিকভারি প্ল্যান করতে পারবে। কিন্তু সেটি যদি দুই মাসে গিয়ে ঠেকে, তাহলে অনেকেই ক্যালেন্ডার ইয়ার অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে সেশনজট তৈরি হতে পারে। তাই দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরামর্শ তাদের। নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটি সম্ভব না হলে অনলাইন ক্লাস চালু করার পরামর্শ তাদের।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও গবেষক আসিফ ইবনে আলী কালবেলাকে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আবার নির্ধারিত সময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘসময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে সামগ্রিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেশনজট যাতে না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত খুলে দিলে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার চেষ্টা করা হবে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সময়মতো সেমিস্টার শেষ করার তাড়া থাকে। যেহেতু তিন সেমিস্টারে পরীক্ষা হয়, সেক্ষেত্রে লম্বা সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে সমস্যা হয়। তারপরও আমরা রিকভার করতে পারব। সেজন্য অনলাইন ক্লাসের অনুমতি দিতে হবে।
পরীক্ষা স্থগিতের এই বিরতি দীর্ঘ হলে শিক্ষার্থী-পরীক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। সেশনজট-শিখন ঘাটতি যেন না বাড়ে, সে জন্য শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
শিখন ঘাটতি পূরণ ও স্থবিরতা কাটাতে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘সবার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এরপর এটি চালু রাখতে হবে, বন্ধ করা যাবে না।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য আছে, পরিস্থিতি আরও জটিল করতে চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড করতে পারে। বিষয়টি নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত। আমরা ঝুঁকি নিরূপণ করেই সিদ্ধান্ত নেব।’