রাজন ভট্টাচার্য
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০৯:৫০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সবার জন্যই চাপ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সবার জন্যই চাপ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি ‘সবার জন্য চাপ’ হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজন। তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র একেবারেই অভ্যন্তরীণ চিন্তা থেকে এককভাবে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে। সেখানে রাজনৈতিক কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর জয়পরাজয়ের চাবিকাঠি নয়। ভিসা নীতিতে এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দলকে আওতাভুক্ত করা হয়নি। এতে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়লেও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকার চ্যালেঞ্জ বাড়াবে। একই সঙ্গে নানামুখী চাপে পড়বে সরকার এবং বিরোধী উভয়পক্ষই।

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে হলে যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ভিসা প্রাপ্তির বিধিনিষেধের কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায় সবার। এজন্য যার যার জায়গা থেকে স্বচ্ছ ভূমিকা রাখার পরামর্শ তাদের।

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও গুঞ্জন। রাজনীতির টেবিলে উত্তাপ সবচেয়ে বেশি। নানা দিক থেকে চলছে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ। অনেকের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠাও। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসলে কী হতে যাচ্ছে—এমন প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে।

দলগুলো একে অপরের দিকে আঙুল তুললেও বিশ্লেষকরা বলছেন, সার্বিক বিচারে নতুন এই নীতির চাপ সবার জন্যই। এতে এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের পুলকিত হওয়ার সুযোগ নেই। সর্বোপরি, ‘দেশের জন্য’ এই নীতি মনে করে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ভিসা নীতির কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দ্বার খুলল। একই সঙ্গে সরকারি দলের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হলো। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোকেও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা তৈরিতে দায়িত্বশীল হতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তার বাসায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা এই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য। নির্বাচনের জন্য এই ভিসা নীতি সহায়ক বলেও মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় গণতা‌ন্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া‌কে সমর্থন করে ব‌লেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত হাস।

এর বাইরে মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি নিয়ে কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সবাই নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট বক্তব্য মিলেছে।

সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই নীতির পরিবর্তন হবে বলেও আশাবাদী তারা।

গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারা অনুযায়ী নতুন যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ৩ মে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এই ভিসা নীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রি সি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণাকে দেখতে চায়।

মার্কিন ভিসা নীতি দেশটি নিজেদের ইচ্ছামতো করেছে, এ নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছু নেই—এমন মতামত তুলে ধরে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় মাস ধরেই প্রভাবশালী দেশগুলোকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে খামোখা উতলা হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আছি, থাকব। ভিসা নীতিতে দেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন সরকার কেন নতুন ভিসা নীতি করেছে, এমন প্রশ্নে ওয়ালিউর রহমান বলেন, এটা তারাই ভালো জানে, প্রকৃত অর্থে তাদের চাওয়া কী। আমি মনে করি, এটা তাদের মর্জি। আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনো দুরভিসন্ধি নেই। তাই এরকম নীতি ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা ছিল না। তারা ক্ষমতাবান, শক্তিশালী দেশ, ইচ্ছা হলে রাজনৈতিক কারণে অনেক কিছু বলতেই পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিক থেকে শুরু করে বিশিষ্টজন কেন এই নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের জন্য চাপ মনে করছেন? এ প্রসঙ্গে তাদের অভিমত হলো—অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন। বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন নয়। আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বনিবনা না হলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না? যদি না আসে, তাহলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে দলটি। তেমনি আওয়ামী লীগেরও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সব দলকে নিয়ে নির্বাচনের দায় রয়েছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি বিরোধী পক্ষের প্রতিও দায়িত্বশীল আচরণের প্রত্যাশা রয়েছে। কেননা, নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা করলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাও মার্কিন ভিসা পাবেন না বলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে উভয় দলের জন্যই মার্কিন ভিসা নীতি চাপের কারণ।

বুধবার নিয়মিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে জানান, ‘বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মাথাব্যথা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশটির লক্ষ্য।’ কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে। এটিকে এক দফা দাবিতে রূপ দিয়ে সমমনা রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়ে বৃহৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে দলটি। চলছে যুগপৎ কর্মসূচিও। মার্কিন সরকারের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু গুরুত্ব না পাওয়ায় বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তারা এই ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে নাকি সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটিও ভাবতে হবে।

নতুন এই ভিসা নীতি দ্বিপক্ষীয় নয়, অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক কারণে মার্কিন সরকার এ কাজটি করেছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। কালবেলাকে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দিন দিন শক্তিশালী হলেও কিছু বিষয়ে টানাপোড়েন বা মতপার্থক্য রয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হবে না।

মার্কিন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কৌশলে চলছে এ কথা উল্লেখ করে এই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক বলেন, কারও ভুলে গেলে চলবে না আর্থিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক এখন বহুমাত্রিক। ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন সরকার যথেষ্ট নির্ভরশীল। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের ভাবনা একেবারেই নিজস্ব। বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই, এটি তাদের কূটনৈতিক কৌশল, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হবে। তা ছাড়া বাংলাদেশ তো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনোদিক থেকেই ক্ষতির কারণ নয়।

নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভাবনা রয়েছে দেশের বিশিষ্টজনের মধ্যেও। দেশে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের সংখ্যা ৯০ ভাগ, যাদের আমেরিকার ভিসা দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ। তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দরকার নেই। বরং এই শ্রেণির মানুষের ভিসা পেলে সমস্যা, তাহলে যাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা খুঁজবে। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের লোকজন চিন্তা করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে কী ভাবছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। এ ব্যাপারে দল ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন শীর্ষ নেতা কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছেন নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়। আমাদেরও এটা কথা, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তাদের অবশ্যই প্রতিহত করব।

মার্কিন এই ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে করা অঙ্গীকারের সমর্থন বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আমাদের অঙ্গীকার এবং অবস্থান সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। এটিকেই তারা সমর্থন দিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন নিয়ে সরকার চাপ অনুভব করছে না বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল সচিবালয়ে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া পরিবর্তন সব নাগরিকের জন্য সমান। আমার মনে হয় ভিসা প্রক্রিয়ার এই পরিবর্তন বিএনপির জন্যও প্রযোজ্য।

নতুন এই ভিসা নীতি কীভাবে দেখছে বিরোধী দল বিএনপি। দলটির নেতাদের কেউ এর পক্ষে বলেছেন। কারও মত, নতুন ভিসা নীতির দায় সরকারের। মার্কিন ভিসা নীতি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে উদ্বিগ্ন, এরই প্রতিফলন এই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারা ভোট চুরির সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবার জন্যই এটি প্রযোজ্য।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলেও স্যাংশনের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা, এটি যথাযথই করেছে। ভিসা থেকে শুরু করে যেসব বিষয় আমাদের সামনে এসেছে, এগুলো আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর ও লজ্জার। বর্তমান অবৈধ সরকারের কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করে হত্যা

এখনো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তারেও অটল শিক্ষার্থীরা

বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন ঠাকুরগাঁওয়ের মুসল্লিরা

আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান হবে না: আব্দুস সালাম 

দিলারার নতুন মিশন

ইউরোর আগে নিষিদ্ধ হওয়ার পথে স্পেন!

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন হাজারো মুসল্লি

আ.লীগ সম্পাদককে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভিপি মনির 

‘জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মানবিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে’

১০

+৯২ বা +৯৯ নম্বরের কল রিসিভ করলে কি ফোন হ্যাক হয়?

১১

ব্যাংক একীভূতকরণ ও ব্যাংকিং শিল্পের পুনর্গঠন

১২

বিআরটিএর অভিযানে ৪০৬ মামলায় ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা 

১৩

জাপার দু’পক্ষের কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা

১৪

গাজায় এবার মার্কিন সেনা, তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী সমুদ্রবন্দর

১৫

হিটস্ট্রোকে পেপার বিক্রেতার মৃত্যু

১৬

শ্রমিকদের ভিসা সহজ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী আহ্বান

১৭

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী 

১৮

বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

১৯

খেলা দেখা নিয়ে অবাক তথ্য মোস্তাফিজের

২০
*/ ?>
X