নরসিংদীর মনোহরদীতে ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠায় তার বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খিদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লবের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার ইউপি কার্যালয়ে ওই ব্যক্তিকে দিনভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম আঙ্গুর মিয়া। তিনি খিদিরপুর ইউনিয়নের পাড়াতলী গ্রামের আউয়াল নবীর ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, আঙ্গুর মিয়াকে চেয়ারম্যান বিপ্লবের নির্দেশে কিছু লোক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দিনভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে সাদিকুল ইসলাম নাকি ছাগল চুরি করেছে। মিথ্যা এ অভিযোগে ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে সকালে আমার স্বামীকে ঘর থেকে চেয়ারম্যানের লোকজন ধরে নিয়ে তার কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে। আমি রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি, কিন্তু আমার অনুরোধ রাখেনি। উল্টো চেয়ারম্যান ১ লাখ টাকা দাবি করেছে। ছেলে অপরাধ করলে সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করা হোক। কিন্তু আমার স্বামীকে এভাবে ধরে নিয়ে এসে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করায় মানসম্মানের হানি হয়েছে। আমি চেয়ারম্যানের বিচার চাই।
খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাউছার রশিদ বিপ্লব বলেন, আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাকিব আগে অনেক গরু-ছাগল চুরি করেছে। ছাগল চুরির সহযোগী মাহমুদুল হাসানকেও আটক করেছি। সে এখন আমার কার্যালয়ে রয়েছে। আঙ্গুরের ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে তাকে এলাকার লোকজন ধরে নিয়ে এসেছে।
ছেলেকে না পেয়ে কেন বাবাকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় বাবাকে আটক করা হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।