শেরপুরে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ছয়টি বন্দুকসহ মাসুম বিল্লাহ ওরফে বুলবুল (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। এ সময় পাচারকারীদের ব্যবহৃত একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, অস্ত্রগুলো প্রাথমিকভাবে এয়ারগান সদৃশ্য মনে হলেও প্রাণঘাতী কি না, তা নিশ্চিত হতে বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় আটক বুলবুলের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি হিসেবে মামলা করা হলেও অস্ত্রগুলো মরণাস্ত্র প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানায়, নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ভারত থেকে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে একটি অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী সমশ্চুরা লালটেঙ্গুর পাহাড়ের কাছে বারোমারি সীমান্ত সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ঠিক এ সময় ভারত সীমান্তের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি ব্যটারিচালিত অটোরিকশা আসতে দেখে তাদের থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে পুলিশের ওপর উঠিয়ে দেয় এবং মোটরসাইকেল ফেলে পাহাড়ের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। তার পেছনে পেছনে আসা অটো গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করার আগেই অটো গাড়ির ড্রাইভার চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পাহাড়ের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অটো গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পেছনের সিটে থাকা মাসুম বিল্লাহ ওরফে বুলবুলকে আটক করে এবং অটোর পেছনের সিট থেকে আলাদা আলাদা প্যাকেটে থাকা ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার করে।
পরে বুলবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে মোটরসাইকেল ফেলে পলাতক চালকের নাম সাইদুল ইসলাম (৩২)। সে ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীবাড়ি বানিয়াপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং পলাতক অটোড্রাইভার একই উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মো. মনির (২৫)। পুলিশ জানায়, পলাতকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে এবং এ চক্রের মূলহোতাদের বের করা হবে।