জ. ই. আকাশ, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০২:৩৮ এএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৪, ০৭:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হরিরামপুরে ফের ভাঙন পদ্মা পাড়ে আতঙ্ক

ধসে পড়ছে জিও ব্যাগ
হরিরামপুরে ফের ভাঙন পদ্মা পাড়ে আতঙ্ক

পদ্মা নদীতে বর্ষার পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের দুর্গম চরাঞ্চল আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা নদীতীরবর্তী এলাকায় ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

জানা যায়, প্রায় পঞ্চাশ দশক থেকে অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে এ উপজেলার আজিমনগর, সুতালড়ী ও লেছড়াগঞ্জ তিনটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণরূপে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সত্তর দশকের শেষের দিকে চর জেগে উঠলে তিনটি ইউনিয়নে আবার জনবসতি শুরু হয়। বর্তমানে চরাঞ্চলের এসব ইউনিয়নে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। এখনো ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে বসবাস করতে হয় চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের। ২০২২ সালের দিকে তীব্র ভাঙন শুরু হলে সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম জরুরি ভিত্তিতে চরাঞ্চলে নদী শাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আজিমনগরে ৪০০ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ করা হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের আঘাতে আজিমনগরের হাতিঘাটা এলাকায় দুই দিন ধরে নতুন করে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে জিও ব্যাগ ধসে নদীতীরের মাটি বের হয়ে আসছে। নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এ এলাকার শত শত পরিবার। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে সুয়াখাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, হাতিঘাটা বাজার, বসতভিটাসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি।

আজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে নদীর পাড়ে বেড়াতে গিয়ে ভাঙনকবলিত জায়গা নজরে পড়ে। দুই বছর আগে যে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হয়েছিল, প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের আঘাতে সেই জিও ব্যাগ ধসে মাটি বের হয়ে আসছে। প্রায় ৮ মিটার এরিয়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ ভাঙনে রূপ নিতে পারে।

একই গ্রামের নাসির উদ্দীন জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের আঘাতে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ ধসে যাচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা না চরাঞ্চলের ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, ‘হরিরামপুরের বেশিরভাগ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে নদী শাসনের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তীব্র ঢেউয়ের কারণে পদ্মার তীরে কিছু কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ স্লাইড করে। সম্প্রতি উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলার যমুনা ও পদ্মা নদীর পাড়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি হরিরামপুর উপজেলার ভাঙনকবলিত স্থানগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। তবে পদ্মা নদী পৃথিবীর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী। বন্যাকালীন এখানে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিতে পারে। আমরা সচেষ্ট আছি, যাতে এলাকাগুলো রক্ষা করতে পারি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি, মৃত্যু ৫

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১০

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১১

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১২

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৩

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৪

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৫

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৬

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

১৭

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনালসে চ্যাম্পিয়ন চবি

১৮

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

১৯

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

২০
X