স্বপন চন্দ্র দাস, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০৩:৪৩ এএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বেড়েই চলেছে যমুনার পানি অরক্ষিত তীরে তীব্র ভাঙন

বেড়েই চলেছে যমুনার পানি অরক্ষিত তীরে তীব্র ভাঙন

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। চার-পাঁচ দিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে পানি বাড়ছে। এদিকে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অরক্ষিত তীরবর্তী অঞ্চল শাহজাদপুরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙনকবলিতরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২ জুন থেকে যমুনায় ব্যাপকহারে পানি বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭৪ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সোমবার ৩০, মঙ্গলবার ৩৭, বুধবার ৫০ ও বৃহস্পতিবার ২৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে কাজীপুরের মেঘাই পয়েন্টে শুক্রবার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৪৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে সোমবার ৩১, মঙ্গলবার ৪৪, বুধবার ৪৪ ও বৃহস্পতিবার ২৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।

এদিকে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর, খুকনী ও কৈজুরী ইউনিয়নে যমুনা অরক্ষিত তীরবর্তী অঞ্চলে কয়েক বছর ধরেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি ইউনিয়নের আট থেকে ১০টি গ্রামের হাজার হাজার বাড়িঘর কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তাঁতশিল্প, রাস্তাঘাটসহ বহু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। বাস্তুহারা ও নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙনকবলিত হাজার হাজার মানুষ।

চলতি মৌসুমে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকহারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে জালালপুরের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে নদীতীরবর্তী মানুষ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধ করা না হলে শত শত বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীতে চলে যাবে। নিঃস্ব হয়ে পড়বে হাজারো মানুষ।

ভাঙনকবলিতরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুরের জালালপুর ও কৈজুরী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, রাস্তাঘাট নদীতে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রতিক্ষার পর সরকার এ অঞ্চলে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির কাজ শুরু হলেও ঠিকাদার ও পাউবোর গাফিলতিতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। ফলে আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে এসব অঞ্চল। গত তিন দিনের ব্যবধানে জালালপুর ও কৈজুরী ইউনিয়নের দেড় শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনার ডানতীর সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। সিসি ব্লক ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং শেষ হলে স্থায়ী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শুরু হবে। এই কাজের মেয়াদ ছিল জুন ২০২৪। আরও এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি, সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে যমুনা গ্রুপ

জনবল নেবে স্যামসাং বয়সসীমা  ২১ থেকে ২৮ বছর 

বায়ুদূষণে শীর্ষে হ্যানয়, ঢাকার খবর কী

সুস্থ থাকতে ভাত নাকি রুটি, কী বলছেন চিকিৎসক

লিটনের শরীরে ৫ শতাধিক বুলেট

সপ্তম রাউন্ডে জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগের লড়াই

পাচারের টাকায় আমিরাতে মিনি সিটি নিয়ে আসিফের স্ট্যাটাস

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ৭ জনের মৃত্যু

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস গবেষকের

১০

সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ জ্যোতির

১১

১৩ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১২

ভারতীয় দলে আচমকা পরিবর্তন

১৩

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

৮ বিভাগেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

১৫

৬ অক্টোবর : নামাজের সময়সূচি

১৬

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

১৭

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৮

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

১৯

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

২০
X