২০১৮ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সায়েন্সেস ক্লাব। ‘একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি’—প্রতিপাদ্যে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী কাজ শুরু করে প্রথমে। এখন সদস্য ৬ শতাধিক। লিখেছেন মো. রাকিবুল হাসান।
বছরজুড়ে তারা আয়োজন করছেন হেলথ ক্যাম্পিং, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, ওয়েলনেস প্রোগ্রাম, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণী, সচেতনতামূলক সভা-সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি। ক্লাবের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এজাজ বিন শরীফ।
সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ভোক্তা অধিকার আইনের ওপরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে ক্লাবটি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসও পালন করে তারা। এ দিন ৫ শতাধিক মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। ক্লাবটি স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান সম্পর্কিত হলেও সব অনুষদের শিক্ষার্থীরাই এতে অংশ নিতে পারেন। কাজ করতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। বিবিএর শিক্ষার্থী ওয়ালিদ হোসেন রাজ তিন বছর ধরে আছেন ক্লাবের সঙ্গে। এখন তিনি সভাপতি। ওয়ালিদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো। পাশাপাশি নানা কার্যক্রম করছি। এতে ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে লিডারশিপ দক্ষতা তৈরি হয়।’
ডিজিটাল গ্রাফিক্স-এর প্রধান ও যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফারহান লাবিব বলেন, ‘আমরা প্রায়ই জনসচেতনতামূলক পোস্টার তৈরি করি। এসব প্রচারের জন্য আমাদের গ্রাফিক্স টিমও অনেক কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খেলাধুলাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আয়োজন করি নানা ইভেন্টের। সবাইকে খেলাধুলা করতে অনুপ্রাণিত করি।’
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা নাদিয়া বলেন, ‘কর্মদক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজন অনুশীলন ও সঠিক দিকনির্দেশনা। এখানে সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সুযোগ পাবেন নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার। ক্লাবে ডিজিটাল গ্রাফিক্স, ক্রিয়েটিভ আর্টস, থিয়েটার, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায় সদস্যরা।’
করোনাকালেও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পিং, মাস্ক বিতরণসহ নানাভাবে সরব ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। মানসিক স্বাস্থ্য, ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার নিয়ে সেমিনারের আয়োজনও করেছিলেন তারা। করোনার প্রকোপ না থাকলেও অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা চালু রেখেছে ক্লাবটি।