যার চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণী ক্ষমতা যত ভালো, কর্মক্ষেত্রে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত জোরালো। ভাবনার দক্ষতা বাড়ানোর কিছু পরামর্শ জানাচ্ছেন মারজান ইমু—
প্রশ্ন-চর্চা
সবার আগে বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ান। চারপাশে যা দেখছেন-শুনছেন সবকিছু নিয়ে ভাবার চেষ্টা করুন। কেন ঘটল, কী করে হলো, এতে কার উপকার হলো, কার ক্ষতি হলো ইত্যাদি প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। এই চর্চা আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। একসময় আপনাকে আর জোর করে ভেবেচিন্তে বিশ্লেষণ করতে হবে না। বিশ্লেষণ এমনিতেই চলে আসবে।
যাচাই করুন
আপনার বিশ্লেষণ সঠিক ছিল কিনা সেটিও দেখে নেওয়া দরকার। সবসময় যে এটা পরখ করা যায়, তা-ও নয়। তবে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে। সঠিক না হলে এটিও জানতে হবে, আপনার বিশ্লেষণে ভুল ছিল কোথায়।
মানুষ চিনুন
মানুষ চিনতে চেষ্টা করুন। অফিস সহকর্মীদের মধ্যে কে ভালো, কে মন্দ, কে মাঝারি, কে কথা বেশি বলে, কে চুপচাপ থাকে, কে সরল, কে কৌশলী এসব বোঝার চেষ্টা করুন। কার দ্বারা কী সম্ভব এটা অনেক সময়ই পূর্বানুমান করা দরকার হয়। অফিসে যতটা সম্ভব একাকিত্ব এড়িয়ে চলবেন। সহকর্মীদের মধ্যে ডুবে থাকুন। আড্ডায় অংশ নিন। মিটিংয়ে যথাসময় উপস্থিত থাকুন। যতটা সম্ভব আপনার পর্যবেক্ষণ বাড়ান আর তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যান। তবে ব্যক্তিগত ব্যাপার-স্যাপারে ঢু মারতে যাবেন না। আগ্রহও দেখাতে যাবেন না। এতে ফল উল্টো হতে পারে।
বুদ্ধির চর্চা
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে পাজল খেলুন। ছোট ছোট ধাঁধার উত্তর মেলান। গোয়েন্দা বই পড়ুন, গোয়েন্দা মুভি দেখুন। মগজের ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা আছে এক্সিকিউটিভদের। নিয়ম করে দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটুন বা শরীরচর্চা করুন। এতেও মগজে শান দেওয়া হবে। নিয়মিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলি জেনে নিজেকে আপডেট রাখুন। অফিসের বিশেষ ঘটনা নোট করুন। তারপর সেই ঘটনায় আপনার বিশ্লেষণ লিখুন। নোটগুলো বেশ ভালো ফল দিতে পারে একসময়। পরে আপনাকে যখন ভাইভায় বলা হবে, আপনি সবচেয়ে কঠিন কোন সমস্যাটার সমাধান করেছিলেন, তখন ওই নোটই কাজে আসবে।