বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ এএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক কোন দিকে

ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে ট্রাম্প-মোদির বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক কোন দিকে

গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই যে দেশটি সবচেয়ে বেশি উল্লাসে ফেটে পড়েছিল, সেটি নিঃসন্দেহে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উচ্ছ্বসিত অভিবাদন জানাতে ও নতুন অংশীদারির অঙ্গীকার করতে এতটুকুও দেরি করেননি। তার ঠিক আড়াই মাস পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রীতিমাফিক আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, চার বছরের ব্যবধানে আবার তার ঠিকানা হয়েছে হোয়াইট হাউস। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ থিমের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে তার দ্বিতীয় অভিষেক। কিন্তু ট্রাম্পের বিজয়ের পর দিল্লিতে যে ধরনের উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল এবং বিশেষ করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো ভারত-মার্কিন সমীকরণের যে নতুন সম্ভাবনায় বুক বাঁধছিলেন তা এখন অনেকটাই স্তিমিত। বরং আগামী দিনে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতার অলিন্দে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মেঘ ক্রমশ ঘনিয়ে উঠেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখা যায়নি, সেখানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সরাসরি মোদিকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা আছে। বস্তুত ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়েন, তার আগের কয়েক মাসে নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র বিশ্বনেতা, যার সঙ্গে তিনি দু-দুটো প্রকাশ্য জনসভায় অংশ নেন। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি তো ট্রাম্পের হাত ধরে ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিতেও দ্বিধা করেননি। ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদেশি কোনো নেতার হয়ে নির্বাচনি জয়ধ্বনি দিচ্ছেন, সেটাও ছিল এক নজিরবিহীন ঘটনা। আর তার ঠিক মাসপাঁচেকের মধ্যেই গুজরাটের আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শকের সামনে সংবর্ধনা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। এ ছাড়া আরও বহুবার নরেন্দ্র মোদির বিখ্যাত ‘হাগ’ বা ‘আলিঙ্গন কূটনীতি’রও স্বাদ পেয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু দুই নেতার মধ্যে তখন যে ধরনের প্রকাশ্য ঘনিষ্ঠতা, বন্ধুত্ব ও মাখামাখি চোখে পড়ত, গত কয়েক মাসে কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। ঠিক কোন কোন কারণে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ ঘিরে ভারতে কিছুটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হলো।

‘ট্যারিফ যুদ্ধ’ ও তেলে নিষেধাজ্ঞা : প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার প্রশাসন চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে ‘ট্যারিফ’ বা আমদানি শুল্ক বসানোর কথা বিবেচনা করছে। ‘ট্যারিফ’ আসলে তার অতিপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক হাতিয়ার। আমেরিকায় বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের চাহিদা কমাতে এবং বিশ্বের অন্যান্য বাজারে মার্কিন পণ্যের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি যে এই অস্ত্রটি প্রয়োগ করতে কোনো দ্বিধা করবেন না, সেই হুমকি তিনি বহুদিন ধরেই দিয়ে আসছেন। আর এই ‘ট্যারিফ যুদ্ধে’ ভারতও প্রবলভাবেই তার নিশানায় আছে, যাদের তিনি একদা ‘ট্যারিফ কিং’ বা ‘শুল্ক বসানোর রাজা’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, ভারতের মতো এত চড়া হারে আমদানি শুল্ক প্রায় কোনো দেশই বসায় না, অথচ তারা আশা করে ভারতে তৈরি জিনিসপত্র খুব কম ট্যারিফে আমেরিকার বাজারে বিক্রি করতে পারবে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে এই হুমকির কিছুটা তিনি কাজেও দেখাবেন বলে ভারতের পর্যবেক্ষকদের অনেকেই ধারণা করছেন। আমেরিকা বিশ্বে ভারতের সবচেয়ে বড় বাজার, সেখানে চড়া হারে শুল্ক বসানো হলে সেই ঘাটতি যেমন বাড়বে, ভারতের প্রবৃদ্ধিও নিশ্চিতভাবেই ব্যাহত হবে। দিল্লিতে অর্থনীতির সুপরিচিত বিশ্লেষক ও লেখক স্বামীনাথন আইয়ারের কথায়, ‘এটা তো পরিষ্কার যে, আমেরিকাকে গ্রেট বানানোই তার লক্ষ্য, ভারতকে নয়। কাজেই ভারত যদি তাদের নিজেদের চড়া শুল্ক না কমায়, আমেরিকায় বাজারেও ভারতের ওপর বিরাট ট্যারিফ বসানোটা একরকম অবধারিত। আমি নিশ্চিত ট্রাম্প এক্ষেত্রে অন্তত ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন না।’ আইয়ার বলেন, ‘এটাও ভারতের জন্য কোনো সুখবর নয়, কারণ গত কয়েক বছর ধরে ওই নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে ভারত যেভাবে রাশিয়া ও ইরান থেকে সস্তায় তেল কিনে আসছে, সেটাও এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।’

ভিসা ছাঁটাই, ডিপোর্টেশন : ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণাতেও বলেছিলেন, আমেরিকার কোম্পানিগুলো যাতে বিদেশ থেকে এনে কর্মী নিয়োগ না করে আমেরিকার বাসিন্দাদেরই চাকরি দেয়, সে লক্ষ্যে তিনি এইচ-ওয়ানবি ভিসার সংখ্যায় ব্যাপক ছাঁটাই করবেন। এইচ-ওয়ানবি হলো এক বিশেষ ধরনের নন-ইমিগ্র্যান্ট মার্কিন ভিসা, যার আওতায় মার্কিন কোম্পানিগুলো আধুনিক বিশেষায়িত প্রযুক্তি বা তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মীদের সাময়িকভাবে নিয়োগ করতে পারে। বিগত কয়েক দশকে লাখ লাখ ভারতীয় নাগরিক এই ভিসার সুবাদেই আমেরিকায় প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়েছেন। তাদের অনেকেই তথ্যপ্রযুক্তি, হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিওরিটি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) মতো বিভিন্ন খাতে আজ কর্মরত বা সুপ্রতিষ্ঠিত। ট্রাম্প জমানায় শুধু এই ধরনের বিদেশি কর্মীদের সংখ্যাই কমানো হবে না, এইচ-ওয়ানবিতে আসা বাবা-মায়ের আমেরিকায় জন্মানো সন্তানও মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার হারাবে বলে প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এ ছাড়া প্রতি বছর যে হাজার হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মার্কিন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে যান, তাদের ভিসার সংখ্যাও কমানো হবে বলে জানানো হয়েছে। সোজা কথায়, ভারতীয় নাগরিকরা যাতে আমেরিকায় পাড়ি দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে এরই মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে। ২০২৪ সালে পিউ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আমেরিকায় ‘আনডকুমেন্টেড ইমিগ্র্যান্ট’ বা কাগজপত্রবিহীন বিদেশি অভিবাসীদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ৭,২৫,০০০। ভারতীয় জনগোষ্ঠী হলো এখানে তৃতীয় বৃহত্তম। অর্থাৎ মেক্সিকো আর এল সালভাদোরের পরেই। অভিবাসনের প্রশ্নে অনেক শিথিল মনোভাব দেখানো বাইডেন জমানাতেও ২০২৪ সালে দেড় হাজারের মতো ভারতীয়কে আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এখন ট্রাম্পের আমলে এই সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে, যা দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে।

আইনি অস্বস্তির জায়গাগুলো : গত বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে নিউইয়র্কে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে (গুরপতওয়ন্ত সিং পান্নু) হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ভারতের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে চার্জ গঠন করা হয়, তা দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে রীতিমতো অস্বস্তি ডেকে এনেছিল। মার্কিন আদালতে সেই মামলা এখনো চলছে। আমেরিকায় ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুশান্ত সিং বলেন, ‘এই মামলার ব্যাপারে আমেরিকাকে যাবতীয় গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে তাদের ‘ফাইভ আইজ’ শরিক কানাডা। আর কানাডার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এই মামলায় অভিযুক্ত করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অধ্যাপক সিং আরও বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী ইকোসিস্টেমে অনেকেরই ধারণা ছিল, ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে একটা ‘ডিল’ বা গোপন সমঝোতা সেরে ফেলবে এবং এই আইনি মামলা থেকে দিল্লিকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখলাম, ট্রাম্প কিন্তু মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করলেন হরমিত ধিলোঁকে, যিনি ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব।’

আমেরিকায় চলমান আর একটি যে মামলা নিয়ে ভারতে তুমুল আগ্রহ আছে, তা হলো ভারতীয় শিল্পপতি ও ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মামলা। আদানিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি বলেই গণ্য করা হয়। ভারতের বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করে আসছেন, যার জবাব দিতে মুখ খুলতে হয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকেও। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত-আদানি বিতর্কের সূত্র ধরে বিজেপি প্রকাশ্যে এ ধরনের অভিযোগ করতেও পিছপা হয়নি। ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুশান্ত সিং বলেন, ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কিন্তু সে দেশের শাসক দলের কোনো বিভাগ নয়। বাইডেনই ক্ষমতায় থাকুন বা ট্রাম্প, এটি মূলত একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই কাজ করে আর এই মার্কিন আমলাদের স্মৃতিশক্তিও খুব প্রখর।’ ফলে গৌতম আদানি ইস্যুতে ভারত তথা ভারতের শাসক দলের অবস্থানের জন্যও তাদের স্টেট ডিপার্টেমেন্টের বিরাগভাজন হতে হবে বলেই অধ্যাপক সিংয়ের ধারণা। সূত্র : বিবিসি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিলকারত্নের বিদায়: নারী দলের কোচ খুঁজছে বিসিবি

রূপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত ২ কিশোরের মৃত্যু

টেন্ডার ছাড়াই ৭০ হাজার টাকায় ১৮ বিঘা জমি নিলেন বিএনপি নেতা

সরকারি চাকরির স্বেচ্ছায় অবসরের বয়স-পেনশন নিয়ে যেসব প্রস্তাব

হাজিদের মোটা অঙ্কের অর্থ ফেরত দিচ্ছে এশিয়ার মুসলিম দেশ

‘বিএনপি ও প্রশাসনের কতিপয় লোকজন আ.লীগকে রক্ষা করছে’

ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে নির্বাচন যেন বিলম্বিত না হয় : সাইয়েদুল আলম

বিইউ’র নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম

কামরুলের ১৫ হিসাবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

দেশকে খুনি হাসিনা ধ্বংস করে গেছে : ড. খন্দকার মারুফ

১০

রংপুর শহরে বন্ধ সব পেট্রল পাম্প, ভোগান্তি চরমে

১১

কমেছে বিদেশগামী অভিবাসীর সংখ্যা, বেড়েছে নারীদের বিএমইটি নিবন্ধন  

১২

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

১৩

বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

১৪

৫০ হাজার টন গম এলো আর্জেন্টিনা থেকে

১৫

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় খালাস পেলেন যারা

১৬

নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য নাম ও প্রতীক চাইলেন শিক্ষার্থীরা

১৭

আহতদের জন্য আসা বিদেশি চিকিৎসকদের সুখবর দিল এনবিআর 

১৮

ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী সহায়তা স্থগিত : বাংলাদেশের জন্য সুযোগ

১৯

উত্তরার ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার 

২০
X