চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ১০০ কোটি টাকার বেশি লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এ উপজেলার ব্যবসায়ীদের।
এখন প্রতি ১০০ লিচু খুচরায় আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা কিনছেন কিছুটা কম দামে। তাদের অনেকেই আগাম টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন মাস পাঁচেক আগেই।
বাশঁখালী কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ উপজেলায় প্রতিবছরই লিচু চাষ বাড়ছে। পুঁইছড়ি, চাম্বল, জলদী, কালীপুর, বৈলছড়ি, সাধনপুরের পাহাড়ি এলাকায় লিচু চাষ হয় বেশি। সবচেয়ে বেশি লিচু চাষ হয় কালীপুরে। আর এখানকার লিচুর কদরও দেশজুড়ে।
বাঁশখালীতে ২০২০ সালে ৬০০, ২০২১ সালে ৭০০, ২০২২ সালে ৭২০, চলতি বছর ৭৬০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গাছ হয় ২০১ থেকে ২২০টি। কলমের নতুন জাতের চারা হয় ২৬০টি। ব্যবসায়িকভাবে চায়না-থ্রি ও চায়না-টু জাতের লিচু বেশি বিক্রি হয়। বাঁশখালীর স্থানীয় লিচুকে বলা হয় কালীপুরী লিচু। চায়না-থ্রি জাতের লিচুর শাঁস বড়, বিচি ছোট। ফলনও আসে দেরিতে। কালীপুরী লিচুর শাঁস-বিচি ছোট হলেও আগেভাগেই ফলন আসে। ফলে এ জাতের লিচু বিক্রি করে বাগান মালিকরা বেশি লাভবান হন।
বাঁশখালীর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, এখন কালীপুরী, বোম্বাই, চায়না-থ্রি, মোজাফ্ফরপুরী লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখন বাজারে সব জাতের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী স্থাপন, পরামর্শ, দলীয় আলোচনাসহ ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে চাষি ও বাগানিদের সহযোগিতা করছি।
কালীপুরের বাগান মালিক বেলাল উদ্দিন বলেন, আমার দুটি বাগান স্থানীয় পাইকারদের কাছে লাগিয়ত করেছি। গত বছরের মতো এবারও ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবার সবমিলিয়ে ১০০ কোটি টাকার বেশি লিচু বিক্রি হতে পারে।