ক্রেতা থাকছে না ৫০ ভাগ শেয়ারে

ক্রেতা থাকছে না ৫০ ভাগ শেয়ারে
প্রতীকী ছবি।

মন্দা বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় ৫০ ভাগ কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা বা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল না। এ ছাড়া লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির চেয়ে কমার সংখ্যা ছিল বেশি। তবে এই সময়ে সূচকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। লেনদেনে টাকার পরিমাণও বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে মোট লেনদেনকারী বেড়েছে ২৩ হাজার ৩৩৮। হাতবদলের সংখ্যা বেড়েছে (মোট ভলিউম) ২ কোটি ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪। টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার। বাজার মূলধন বেড়েছে ৩১১ কোটি ২২ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে হয়েছে ৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্ট। এক দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই সূচক বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক শূন্য দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩০ পয়েন্ট হয়েছে। শরিয়া সূচক শূন্য দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। নতুন বছরও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে গত ডিসেম্বরে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠলে ১৬৯ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইসের শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয়। তবে ওইসব কোম্পানি তুলনামূলক দুর্বল হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের এতে আগ্রহ নেই। ফলে কোম্পানির দাম কমার তালিকা বড়। অন্যদিকে ফ্লোর বা অতি মূল্যায়িত হওয়ায় অধিকাংশ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। তাই প্রতিদিনের লেনদেনে অংশ নিয়েও অর্ধেকের বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম পরিবর্তন হচ্ছে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৫ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেড়েছে ৭৯, কমেছে ৯১ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫টির দাম। ডিএসইতে ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৬৮ প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৮টির এবং ৭৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com