কখনো ঘাড়, কখনো চিবুকে ঠ্যাস লাগিয়ে ঝুলছেন। আবার হ্যান্ডস্ট্যান্ড পুশ-আপস করছেন। চারপাশ থেকে উৎসাহী জনতা তার ছবি তুলছেন। তিনি তার ব্যতিক্রমী শক্তি এবং অনন্য ফিটনেস পদ্ধতির মাধ্যমে ফিটনেস শিল্পে নিজের আলাদা একটি স্থান তৈরি করে ফেলেছেন। বলছিলাম চীনের সন্ন্যাসী এবং শাওলিন কুংফু মার্শাল শিল্পী জিয়াও হাইয়ের কথা।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই তার মার্শাল আর্টের প্রতি প্রচণ্ড মুগ্ধতা ছিল। অবসর সময়ে মার্শাল আর্ট মাস্টার এবং নায়কদের সম্পর্কে জানতে গিয়ে তিনি কিশোর বয়সেই অনুপ্রাণিত হন। এরপর শুরু করেন কুংফু মার্শাল আর্ট শেখা। অনুশীলন করতে করতে তিনি নিজের শরীরকে যেন জীবন্ত মেশিন বানিয়ে ফেলেছেন।
তার ব্যতিক্রমী শক্তি এবং অনন্য ফিটনেস পদ্ধতিতে মুগ্ধ স্থানীয়া। চীনের সুঝোতে শুট করা একটি ফুটেজে এই মার্শাল আর্টিস্টকে একটি পার্কে তার ভারসাম্য, শক্তি এবং নমনীয়তার দক্ষতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি 'মানব পতাকা' চালান। দেখা যায়, তিনি ঘাড় এবং চিবুক ব্যবহার করে একটি বারে ঝুলছেন, হ্যান্ডস্ট্যান্ড পুশ-আপস করছেন। এ সময় উৎসাহী জনতা তার ছবি তুলেন।
এ বিষয়ে জিয়াও হাই বলেন, তিনি দেখেছেন- মার্শাল আর্ট মাস্টাররা খুব চিত্তাকর্ষক এবং খুব শক্তিশালী। এ জন্য তিনিও তাদের সেই পদ্ধতি রপ্ত করেছেন। কারণ তিনি ছোটবেলা থেকেই মার্শাল আর্ট খুব পছন্দ করেন। মার্শাল আর্ট এবং ফিননেস আলাদা হলেও জিয়াও হাই এই দুটিকে একত্রিত করে নতুন একটি পদ্ধতি তৈরি করেছেন।
তিনি জানান, তার দৈনিক প্রাথমিক প্রশিক্ষণের রুটিনের মধ্যে রয়েছে ৩০০-৫০০ পুশ-আপ, ২০০-৩০০ পুল-আপ এবং ১০০-২০০ হ্যান্ডস্ট্যান্ড পুশ-আপ। জিয়াও হাই বলেন, তিনি তার এই ভিডিও আরও ছড়িয়ে দিতে চান। যাতে মানুষ আরও বেশি এটা জানতে পারে এবং উৎসাহী হয়।
শাওলিন কুং ফু হল একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা মার্শাল আর্ট। এটা জেন বৌদ্ধধর্মের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। শাওলিন মঠ থেকে উদ্ভূত এই আর্ট মূলত আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি এই আর্ট শারীরিক ব্যায়াম, মানসিক ফোকাস এবং আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন