হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সন্তান। তাই সন্তানের চিকিৎসায় হয়রান হয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা। তবে শেষমেষ এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হন বাবা। তিনি জানান, কালোজাদু করা হয়েছে তার সন্তানকে। ফলে তাতেই মৃত্যু হয়েছে সন্তানের। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে ১৮০ জনের বেশি লোককে হত্যা করেছেন গ্যাংস্টার বাবা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হন এক গ্যাংস্টার। তিনি জানান, বয়স্ক কোনো ব্যক্তি তার ছেলেকে জাদুটোনা করেছেন। এজন্য সে শয্যাশায়ী। এভাবেই তার সন্তানের মৃত্যু হয়। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধ লোকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি।
এরপর দলের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। বয়স্ক লোকদের ওপর টার্গেট করে চালানো এ হত্যাযজ্ঞে ১৬০ জনের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন। এরপর আগুনে তাদের মরদেহগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর রাজধানীতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গ্যাংকাণ্ডের কারণে হাইতির প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। দেশটির গ্যাংস্টার মনেল ওরফে মিকানো ফেলিক্স ও তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিষয়টি জাতিসংঘেরও নজরে এসেছে।
সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক জানান, গ্যাং নেতার তাণ্ডবে হাইতিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৮৪ জনে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাং সদস্যরা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের বাড়িঘর থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর তাদের ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করছে।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর থেকে গ্যাং সহিংসতায় নাকাল হাইতি। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দেশটিতে চলতি বছরেই গ্যাং সহিংসতায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
মন্তব্য করুন