লেবাননের ওপর ভয়াবহ আকারে ক্ষেপে গিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সর্বশক্তি দিয়ে তিনি লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী এখনো দেখেননি। তিনি সর্বশক্তি দিয়ে লেবাননে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননে হামলার তীব্রতা কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে তার দপ্তর জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা কমানো নয়, বরং হিজবুল্লাহর স্থাপনাকে নিশানা করে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া গাজায় লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজও এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানান, দক্ষিণে কোনো ধরণের অস্ত্রবিরতি হবে না। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিজয়ের আগ পর্যন্ত সর্বশক্তি দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখব।
এর আগে লেবাননে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) তাদের মিত্ররা। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে এ ধরনের ঘোষণা দেয় তারা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে ব্যাপক আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশগুলো। পরে এক বিবৃতিতে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক প্রধান হারজি হালেভির বুধবারের বক্তব্যের পর তড়িঘড়ি করে সভার আয়োজন করা হয়। হারজি হালেভি সৈন্যদের বলেছিলেন, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা তাদের শত্রু অঞ্চলে প্রবেশ করার পথ তৈরি করতে পারে। যে কোনো সময় স্থল অভিযানের জন্য তার সেনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর তালিকায় ১২টি শক্তিশালী দেশের নাম আছে। তারা মনে করে, চলমান সংঘাতের একটি কূটনৈতিক মীমাংসার জন্য সামরিক ফুরসত প্রয়োজন। সে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতিতেও তারা সম্মত।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও কাতার।
মন্তব্য করুন