রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আর চীনের নতুন মানচিত্র নিয়ে বিভক্ত বিশ্ব। তবে এবার সব ভেদাভেদ ভুলে যৌথ বিবৃতিতে সম্মত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এবার জি-২০ সম্মেলন থেকে বিশ্বনেতারা যৌথ বিবৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতারা ঐকমত্য হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও দক্ষিণ চীন সাগরের নতুন মানচিত্র নিয়ে বিশ্ব নেতাদের মাঝে বিভেদ রয়েছে। ফলে এ যৌথ বিবৃতিতে আসলেই সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বিভেদ ভুলে সেভাবে ঐকমত্যে বিশ্বনেতারা
গতকাল পর্যন্ত বিশ্বনেতারা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যৌথ বিবৃতিতে সম্মত হবেন না বলে ধারণা ছিল সবার। তবে এবার তা নিয়ে বিশ্বনেতারা একমত হয়েছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বিবিসির দাবি, যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এ আলোচনায় ইউক্রেনের বিষয়ে বিবৃতির জায়গা শূন্য রয়েছে। এর আগে গত বছরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলন থেকে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়া ও চীন আপত্তি জানিয়েছিল। যদিও এবারের বিবৃতির বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের ঐকমত্যের বিষয়ে প্রচেষ্টা চলছে।
সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ যে, আমরা এ সম্মেলন থেকে যৌথ বিবৃতি দিতে চলেছি। এ বিষয়ে আমাদের টিম কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মেলন থেকে যৌথ বিবৃতি আসতে চলেছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ যৌথ বিবৃতি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এতে কি নিয়ে আলোচনা বা কি বলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৫ ও ৫ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত আসিয়ান জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে কোনো যৌথ বিবৃতি আসেনি। যদিও এ সম্মেলনে মিয়ানমার সংকট প্রাধান্য পেয়েছে। তবে তা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে বিরোধ হওয়ায় কোনো ফলাফল আসেনি। সম্মেলনে আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি ও স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়া জানায়, মিয়ানমার সমস্যা সমাধানে জোটের প্রস্তাবিত পাঁচ দফা শান্তি পরিকল্পনায় অগ্রগতি যৎসামান্য।
এরও আগে গত ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেখান থেকেও কোনো যৌথ বিবৃতি পায়নি বিশ্ব। এ সম্মেলনে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মূলত বৈশ্বিক বিভাজনের বিষয়টি আরও সামনে এসেছে। সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব, অন্যদিকে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
মন্তব্য করুন