রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি জানান। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে পুতিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল। সে সময় বিশেষ কূটনৈতিক আলাপের সময় কক্ষে পুতিনের পোষা কুকুর কোনি প্রবেশ করে। ঘটনাটি কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে। অভিযোগ উঠে, মার্কেলকে ভয় দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পুতিন তার কালো ল্যাব্রাডর কোনিকে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু পুতিন তা অস্বীকার করে আসছেন। বৃহস্পতিবারও সাংবাদিকদের এ ধরনের প্রশ্নের মুখে তার আগের অবস্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য মার্কেলের কাছে ক্ষমা চান।
সম্প্রতি মার্কেলের স্মৃতিকথা ‘ফ্রিডম’ প্রকাশের পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। ওই বইতে মার্কেল লেখেন, পুতিন মাঝে মাঝে পোষা প্রাণীটিকে (কুকুর) বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জেনে ওই বৈঠকের আগে একজন সহকারীকে দিয়ে পুতিনের দলের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন মার্কেল। দাবি ছিল, তিনি কুকুরকে ভয় পান। তাই তাদের বৈঠক চলাকালে সেখানে যেন কোনিকে উপস্থিত করা না হয়। তবু পুতিন কুকুরকে নিয়ে আসেন।
ওই বৈঠকের একটি ছবিতে দেখা গেছে, কালো রঙের কুকুরটি মার্কেলের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করছে। সন্দেহজনক উপস্থিতি শনাক্তের মতো মার্কেলকে পর্যবেক্ষণ করছে। এতে মার্কেলকে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়।
এ বিষয়ে পুতিন বলেন, আমি আগেও মার্কেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। মার্কেলকে বলেছি, আমি জানতাম না তিনি কুকুরকে ভয় পান। যদি আমি জানতাম, আমি এটি কখনই করতাম না। সত্যি বলতে, আমি একটি স্বস্তিদায়ক, মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমি আবার তার কাছে ক্ষমার আবেদন জানালাম। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। আমি আপনাকে কোনো কষ্ট দিতে চাইনি।
মন্তব্য করুন