কম্বোডিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার (২৩ জুলাই) এ খবর জানিয়েছে জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি ১২৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে জিতেছে। বেসরকারি ফল অনুসারে, কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন ‘ফ্রি ও ফেয়ার’ কোনোটাই হয়নি।
মিলার আরও বলেন, কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির রাজনৈতিক বিরোধী দল, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানিতে নিয়োজিত। এটি দেশটির সংবিধান এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এখনও সময় আছে তারা আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে। তারা পুনরুদ্ধার করতে পারে বহুদলীয় গণতন্ত্র। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। মিডিয়াকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। কোনোভাবেই তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
আরও পড়ুন : তুরস্কের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিঙ্কেন
এর আগে গত রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ায় একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। জেল জুলুম ও মামলা দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রাখা হয়েছিল। স্বাভাবিক কারণেই নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছে হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।
টানা ৩৮ বছর ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি শাসন করছেন কম্বোডিয়ার ‘গণতান্ত্রিক মডেলের স্বৈরশাসক’ প্রধানমন্ত্রী ৭০ বছর বয়সি হুন সেন।
আরও পড়ুন : দুই দেশের ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন