রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাখাইনে সেনা সদর দপ্তর দখল আরাকান আর্মির

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ছবি : সংগৃহীত
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি সেনা সদর দপ্তর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এর মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দ্বিতীয়বারের মতো আঞ্চলিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাল।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের পতন ঘটেছে।

তারা জানিয়েছে, এই সেনা সদর দপ্তরটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

এর আগে ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরে সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়। এই বিদ্রোহে আরাকান আর্মি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আরাকান আর্মি (এএ) ২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের সরকারবিরোধী অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি চীন-সংলগ্ন মিয়ানমারের সীমান্তে উল্লেখযোগ্য কিছু বিজয়ও অর্জন করে। এই অভিযানে তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাশিওসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। লাশিও শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ছিল মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথম সামরিক কমান্ড দখলের ঘটনা।

আরাকান আর্মি, যা জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদারহুডের সদস্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন রাজ্যসহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় লাভ করেছে। গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর এই অঞ্চলে নতুন করে লড়াই শুরু হয়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়ে থাকে।

রাখাইন রাজ্য মিয়ানমারের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল হলেও এর কৌশলগত গুরুত্ব ব্যাপক। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই রাজ্যটি প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এবং এখানকার কিয়াউক পিউ শহরে একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনে তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা হয়, যা আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও সামরিক কৌশলের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে গত কয়েক মাসে, রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, আরাকান আর্মি তাদের অভিযানে রোহিঙ্গাদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন এলাকায় হামলা চালানোর সময় রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যার ফলে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের আহ্বান

কিশোর বয়সে প্রেম ও বিয়ে, অতঃপর যা ঘটল

বিজিএমইএ প্রশাসকের সাথে নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া যাবে 

‘ট্রাফিক পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হলো নাগরিকদের গন্তব্যে পৌঁছানো’ 

তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতেই সারাদেশে কৃষক সমাবেশ : টিএস আইয়ূব

শহীদ সুজনের মেয়েকে নিয়ে দুর্ভাবনায় দিন কাটছে রেখা বেগমের

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ১০

আমরা জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই : ডিবি প্রধান

হেলিকপ্টারে চড়িয়ে মায়ের ইচ্ছে পূরণ করলেন আয়নাল

১০

চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর ঘরে তালা দিলেন ইউপি সদস্য

১১

দেশে দখলবাজের পরিবর্তন হয়েছে, দখলদারত্ব বন্ধ হয়নি : হাসনাত

১২

পয়েন্ট পেল ফকিরেরপুল, ওয়ান্ডারার্স

১৩

১৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

১৪

এমএ আজিজ স্টেডিয়াম পেল বাফুফে

১৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

১৬

কাবাডির পাশে থাকার আশ্বাস ক্রীড়া উপদেষ্টার

১৭

ভারতের মাতব্বরি নয়, বিএনপি বন্ধুসুলভ আচরণ চায় : গয়েশ্বর

১৮

ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত

১৯

পুনর্মিলনী করবে ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন যশোর ৯৫ ব্যাচ

২০
X