
সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ এবং ইয়ুথ ফর চেঞ্জ, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘হিরো’স প্রকল্পের আওতায় ‘রেড হার্ট ক্যাম্পেইন মিটিং টু প্রমোট চাইল্ড রাইটস অফ সেক্সুয়ালিটি এবুউসড, এক্সপ্লোটেড অ্যান্ড ট্রাফিকড চিলড্রেন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর ইস্কাটনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রোকসানা হাসিফ এনডিসি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। এ সময় দেখেছি, মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন কীভাবে প্রণয়ন করা যায় সরকার এটা নিয়ে ভাবছিল। কিন্তু কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। অডিয়েন্সের মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ প্রণয়ন করা হয়। এক মাস পর এটা গেজেটে প্রকাশিত হয়। পর্নোগ্রাফি অ্যাক্ট-১ ও আমার সময়ে প্রণয়ন হয়েছে। ঐ সময়ে মানব পাচার সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়েছে।’
সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম বলেন, ‘শিশুরা কীভাবে ফেসবুকে বা বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিমের শিকার হচ্ছে এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, মায়েরা কেউ আমাদের সময় দেয় না। আমরা অনলাইনে যাকে পাই তার সঙ্গেই বন্ধুত্ব করি। এর ফলে ও আমার ছবি চাইলে ওকে ছবি দিই। সেই ছবিকে ভুলভাবে ব্যাখা করা হয়েছিল। মেয়েটি আর স্কুলে যেতে পারেনি।’
ইশরাত শামীম আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাসেজ এটাই মেয়ে শিশু-কিশোরীদের একক ছবি ফেসবুকে পোস্ট বা বন্ধু-বান্ধবদের দেওয়া যাবে না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আমরা ভাবি, আমরা পারি এবং আমরা করি। গত বছর থেকে আমরা রেড হার্টের মাধ্যমে শিশু-যুবদের মধ্যে নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি। বইতে আমরা এই মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন স্পেনের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজিয়ান্সের ফ্যাকাল্টি ইনফরমেটিকস এবং হিরোস প্রকল্পের জেসাস এ. এলোনসো লপেজ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোয়েটেড চিলড্রেনের ভারতের প্রোগাম ম্যানেজার ব্রামওয়েল রায়। তারা বলেন, হিরো’স প্রকল্পের আওতায় যুবরা সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইয়ুথ ফর চেঞ্জ, বাংলাদেশ-এর হেড অব ইনফ্লুয়েন্স সায়মা আক্তার দিপ্তি রেড হার্ট ক্যাম্পেইন স্ট্যাটিজিস বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপনে বলেন, ‘শিশু ও যুবদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা বাস্তবায়নে দরকার ক্যাম্পেইন করা। সেমিনার-উঠান বৈঠক, ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুদের মাঝে তাদের অধিকার, সুরক্ষার কথা পৌঁছে দেওয়া। রেড হার্ট ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিশু ও যুব ফোরামকে যুক্ত করা। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, শিশু ও যুবরা সমাজ পরিবর্তনের বাহন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫টি ভাগে রেড হার্টের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব। ক্যাম্পেইন সচেতনতা, যুব ও শিশুদের যুক্ত করা, সমাজকে সম্পৃক্ত করা, কোলারেশন ও নেটওয়ার্ক বাড়ানো এবং গণমাধ্যমকে যুক্ত করা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াছমিন, মো. একরাম হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কায়সার চৌধুরী, ইউএনএইডস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সায়মা খান, অভিবাসীকর্মী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুব এলাহী প্রমুখ।
যুবদের মধ্যে বক্তব্য দেন মোসাস্মৎ শিউলি, আমীর হোসেন, সোহেল আহমেদ, মরিয়ম হওলাদার প্রমুখ।