
এস্পানিওলের বিপক্ষে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর ঘরের মাঠে লা লিগায় ৮ ম্যাচের সবক’টিতেই জয় পায় স্প্যানিশ জায়ান্ট। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেই ধারা অব্যাহত রেখে এস্পানিওয়েল বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল। ম্যাচ শেষে রেফারিদের সমালোচনায় মেতে উঠেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস।
৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর ২২ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৯ মিনিটে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিতাও। ম্যাচের শেষ দিকে তৃতীয় গোলটি করেন স্প্যানিশ তারকা মার্কো অ্যাসেনসিও।
এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ৬ পয়েন্টে নামিয়ে আনল রিয়াল। ২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। আর এক ম্যাচ কম খেলা ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।
প্রায় প্রতি ম্যাচে অসংখ্যবার ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়ুস। এস্পানিওলের বিপক্ষে ব্যতিক্রম হয়নি। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। রেফারিরা সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৮ বার ফাউলের শিকার হন ভিনি। এস্পানিওলের বিপক্ষে নিজেও ফাউল করেন তিনি। এ জন্য হলুদ কার্ডও দেখেন। এ মৌসুমে এটি তার দ্বাদশ। রেফারিদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভিনিসিয়ুস।
তিন বলেন, ‘রেফারি ফাউল দেয় না, কার্ডও দেখায় না। প্রতিপক্ষ আমাকে ১৫ বার ফাউল করছে, আর ম্যাচের যখন ৮৮ মিনিট চলছে তখন রেফারি হলুদ কার্ড দেখাচ্ছে। খেলোয়াড়দের আমাকে থামানোর উপায় ভাবতে হবে, কিন্তু ফাউল করার মাধ্যমে তাদের জন্য কাজটি খুবই সহজ হয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার প্রশ্ন রেফারিদের নিয়ে, কারণ তাদের সঠিকভাবে নিয়মের প্রয়োগ করতে হবে। আমাকে সুরক্ষা দিতে কাউকে বলছি না। আমার সতীর্থ, বাবা-মা এবং যারা আমাকে পছন্দ করে তারা ছাড়া কেউই জীবনে আমাকে সাহায্য করেনি।’