অ্যানফিল্ডে জ্বলে উঠলেন মোহামেদ সালাহ, গাপকো ও নুনিয়েজ। আর তাতেই জ্বলেপুড়ে ছারখার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুলের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়াকে ‘কালো দিন’ হিসেবে দীর্ঘদিন মনে রাখবেন ম্যানইউর সমর্থকরা। রেড ডেভিলদের বিপক্ষে এটি অলরেডদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে এমন একপেশে হবে, তা ছিল ধারণার বাইরে। প্রথমার্ধে মোটামুটি সমানে সমান লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে যেন খেলাই ভুলে গিয়েছিলেন ম্যানইউর ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে ডাচ তারকা কোডি গাকপোর গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে করেছে আরও ছয় গোল। দুটি করে গোল করেছেন গাকপো, দারউইন নুনিয়েজ ও মোহামেদ সালাহ। আর ম্যানইউর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন রবার্তো ফিরমিনো।
অথচ প্রথম গোল পেয়েছিল ম্যানইউ। ক্যাসেমিরো লিভারপুলের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি। আর ইউনাইটেডের পোস্টে প্রথম শটে গোল পায় লিভারপুল। গাকপোর গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অলরেডরা।
Link a Story
রিয়ালের হোটেলের সামনে লিভারপুল সমর্থকদের উন্মত্ত আচরণ
দ্বিতীয়ার্ধে ৫০ মিনিটে লিভারপুলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন নুনিয়েজ। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রক্ষণকে মামুলি বানিয়ে সালাহর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন গাকপো। ৬৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সালাহ (৪-০)। ৭৫ মিনিটে হেডে গোল ব্যবধান ৫-০ করেন নুনিয়েজ।
৮৩ মিনিটে এরিক টেন হাগকে আরও বড় লজ্জায় ফেলে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন সালাহ। এটি প্রিমিয়ার লিগে সালাহর ১২৯তম গোল। এই গোলে প্রিমিয়ার লিগে অলরেডদের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন মিসরীয় তারকা।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লিভারপুলকে ৭-০ গোলে এগিয়ে দেন ফিরমিনো। গত বছর এপ্রিলে অ্যানফিল্ডেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল।
এই হারে ২৫ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানইউ। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১৪ পয়েন্টে পিছিয়ে তারা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমে লিভারপুল।