
ঘরের মাঠে নিচের দিকে থাকা বোর্নমাউথের বিপক্ষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আর্সেনালের হার নিশ্চিতভাবেই অঘটন হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই তিক্ত স্বাদ পেতে হয়নি গানারদের। শেষ ১১ ম্যাচের মাত্র একটি জেতা বোর্নমাউথের কাছে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল গানাররা। সেখান থেকে অবশ্য ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে সমতায় ফেরে তারা। আর শেষ মিনিটের গোলে প্রত্যাবর্তনের নতুন ইতিহাস লিখে আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল গানাররা।
নিজেদের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে স্বস্তির এ জয়ে ম্যানসিটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আবারও ৫-এ নিয়ে গেল আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা মিকেল আর্তেতার দলের পয়েন্ট ৬৩, গার্দিওলার ম্যানসিটির ৫৮। এর আগে নিউক্যাসলকে ২-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিকে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বোর্নমাউথকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফিলিপ বিলিং। আর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে গোল ব্যবধান ২-০ করেন মার্কোস সেনেসি।
দুই গোল খেয়ে যেন জেগে ওঠে আর্সেনাল। ৬২ মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় স্বাগতিকরা। গোলের ব্যবধান ২-১-এ কমিয়ে আনেন থমাস পার্টি। ৬৯ মিনিটে এমিল স্মিথের বদলি হিসেবে নামেন নেলসন। পরের মিনিটে তার অ্যাসিস্ট থেকেই বেন হোয়াইটের গোলে সমতায় ফেরে গানাররা।
আর নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে আর্সেনালকে জিতিয়ে ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন নেলসন।
২০১২ সালের পর দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি আর্সেনালের। সেবার নর্থ লন্ডন ডার্বিতে টটেনহামের কাছে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ ব্যবধানে জিতে ছিল গানাররা।