
নারী ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অন্তরে ক্ষোভের আগুন বয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল গোলাম রাব্বানীর প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণায়। নারী ফুটবলে সব অর্জনের নেপথ্য কারিগর আজ শুক্রবার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুএক দিনের মধ্যে অফিসিয়ালি বিষয়টি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) জানাবেন।
বছরের পর বছর প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের ঝক্কি-ঝামেলার কারণে ক্লান্তি ভর করেছে—এটি গোলাম রাব্বানীর দায়িত্ব ছাড়ার পোশাকি কারণ। ভেতরের খবর হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্ম্যালির খবরদারিত্ব। যা সহ্য-সীমার বাইরে চলে গেছে। যদিও এ সম্পর্কে গোলাম রাব্বানী কিছু বলেননি।
কালবেলাকে গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করছি। নিজের মাঝে ক্লান্তি আছে, পরিবারকে সময় দেওয়ার বিষয়টাও জরুরি। এ কারণে আমি দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অফিসিয়ালি দু-এক দিনের মধ্যে দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি বাফুফের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়ে দেব’—নারী ফুটবল দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পল স্ম্যালির খবর দারিত্ব বাড়ছে। কোচিং স্টাফদের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। বিপরীতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে না।
মে মাস শেষ হতে চলছে, অথচ এপ্রিলের বেতন এখনও পাননি কোচিং স্টাফরা। নারী ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র কালবেলাকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, নানা হতাশার কারণে একাধিক কোচিং স্টাফ গোলাম রাব্বানীর পথে হাঁটার চিন্তা-ভাবনা করছেন।
সাবিনা-কৃষ্ণাদের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়লেও ফুটবলাঙ্গণ ছাড়ছেন না ২০০৯ সাল থেকে নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করা গোলাম রাব্বানী, ‘নারী জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়লেও কোচিংয়েই থাকব। ক্লাব কোচিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’ সাতটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা এ কোচ আরও বলেন, ‘ভবিষ্যৎ নির্ধারণের আগে আমার বিশ্রাম প্রয়োজন। বিশ্রাম নেব, পরিবারকে সময় দেব। তারপর পরে গন্তব্য নিয়ে ভাবতে চাই।’