পুরো পৃথিবী যখন বিশ্বকাপ নিয়ে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনায় বিভক্ত, তখন পর্তুগালের সমর্থক সারিতে রয়েছেন ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা কারিনা কায়সার। আর দলটির অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্ত তিনি। পাশাপাশি বিশ্বকাপের মতো আয়োজন পরিবার-পরিজন আর প্রতিবেশীদের নিয়ে উদযাপনের দারুণ একটি উপলক্ষ বলেও মনে করেন কারিনা।
কারিনা কায়সারের সঙ্গে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের রয়েছে পারিবারিক যোগসূত্র। কারিনার বাবা মোহাম্মদ কায়সার হামিদ ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের এক সময়ের জনপ্রিয় খেলোয়াড়। দাদি এক সময়ের দাবা খেলোয়াড় গ্র্যান্ড মাস্টার রানি হামিদ। দাদা কর্নেল (অব.) এম এ হামিদ ছিলেন হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কারিনা কায়সার বলেন, ‘আমার পছন্দের ফুটবল দল হচ্ছে পর্তুগাল। আর প্রিয় খেলোয়াড় সিআর-৭ (ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো)। ফুটবলপ্রেমীদের বেশিরভাগই হয়তো আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থক, কিন্তু আমি পর্তুগালের।’
বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর পরিবার-পরিজন আর প্রতিবেশীদের সঙ্গে সামাজিক বন্ধন বাড়াতে বেশ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন ডিজিটাল মিডিয়ার জনপ্রিয় এ ক্রিয়েটর। কারিনা বলেন, ‘আমাদের বাসার সামনেই মাঠে প্রতি বিশ্বকাপে প্রজেক্টর দিয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়। সে খেলা দেখতে আমাদের সোসাইটির সবাই একত্র হই। এতে করে সোসাইটির সবার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আমরা বড় হয়েছি, অনেকেই ব্যস্ত থাকি। তাই হয়তো আশপাশের মানুষদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ কমে গেছে। কিন্তু এ বিশ্বকাপের কারণে দিনশেষে সবাই আবার একত্র হই।’
ইভেন্টের চেয়েও বিশ্বকাপ অনেক বেশি উদযাপনের উপলক্ষ বলে মনে করেন কারিনা কায়সার। তিনি বলেন, ‘আমার পারিবারিক ইতিহাস খেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও ক্যারিয়ার হয়েছে ভিন্ন অঙ্গণে। এ বিশ্বকাপে আমাদের পুরো পরিবার আবার সেই পুরোনো দিনে ফিরে যাই। একেক সদস্য একেক দল সমর্থন করি। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনা থাকে। বিশ্বকাপ শেষে কোন দল জিতেছে, সেটা হয়তো অনেক বছর আমরা ভুলেও যাই। কিন্তু বিশ্বকাপ যে স্মৃতিগুলো রেখে যায়, সেগুলো আমাদের জীবনভর আনন্দ দিয়ে যায়।’