গ্রুপ পর্ব, রাউন্ড অব সিক্সটিন শেষ করে কাতার বিশ্বকাপের মাঠের লড়াইয়ে পৌঁছে কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। চল্লিশ বছর পর বিশ্বকাপে ঝাঁঝালো এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা ফুটবল দুনিয়া। দুই দল এ পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৩১ বার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ ম্যাচে জিতেছে ইংল্যান্ড। আর ফরাসিদের জয় ৯ ম্যাচে। এর মধ্যে দুই দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও স্মরণীয় চারটি ম্যাচ কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১৯৬৬-তে ফরাসিদের ফেরত পাঠান রজার হান্ট
১৯৬৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হয় ইংল্যান্ড। সেবারই বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৯৮ হাজার ২৭০ দর্শকের উপস্থিতিতে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। লিভারপুল তারকা রজার হান্ট দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন। এই জয়ে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে ওঠে ইংলিশরা। আর গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে ফরাসিরা।
১৯৮২-তে রবসনের জোড়া গোলে উড়ন্ত শুরু ইংলিশদের
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল স্পেন। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড-ফ্রান্স। ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে দুই দলের দ্বিতীয় মোকাবিলা। বিলবাওয়ের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার ব্রায়ান রবসনের গোলে প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইংলিশরা। জেরার্ড সোলারের গোলে সমতায় ফেরে ফরাসিরা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রায়ান রবসনের দ্বিতীয় আর পল মেরিনারের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় ইংল্যান্ড।
২০০৪-এ এক জিদানে কুপোকাত ইংলিশরা
২০০৪ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচের শেষদিকে দুই মিনিট ব্যবধানে জিনেদিন জিদানের জোড়া গোলে কপাল পুড়ে যায় ইংলিশদের। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। গোল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ডেভিড বেকহ্যামের পেনাল্টি শট রুখে দেন ফরাসি গোলকিপার ফ্যাবিয়েন বার্থেজ। ইনজুরি টাইমে নিখুঁত ফ্রি-কিকে ফরাসিদের সমতায় ফেরান জিদান। এরপর ইংলিশ গোলরক্ষক ডেভিড জেমসের ফাউলের শিকার হন থিয়েরি হেনরি। সফল স্পটকিকে ইংলিশদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন জিদান।
২০১৫-তে বন্ধুত্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়
১৩ নভেম্বর ২০১৫ ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। সে হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়। এর চার দিন পর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ওয়েম্বলিতে নিহতদের স্মরণে ফ্রান্সের বিশাল পতাকা নিয়ে গ্যালারিতে উপস্থিত হন দর্শকরা। ম্যাচ শুরুর আগে নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দুই দলের কোচ রয় হজসন এবং দিদিয়ের দেশম। ম্যাচে ডেলে আলি ও ওয়েন রুনির গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় ইংলিশরা।