
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে প্রথম তিন টেস্টে শতকের দেখা পাননি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটার। কিন্তু আহমেদাবাদ টেস্টের প্রথম ইনিংসে হয়েছে চার শতক। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনের পর শতকের দেখা পেলেন ভারতের শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি।
দীর্ঘ ১২০৫ দিনের অপেক্ষার শতকের দেখা পেলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাটিতে ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৭৫তম শতকটি করেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ২৪১ বলে ক্যারিয়ারের ২৮ টেস্ট শতকের দেখা পান তিনি। এতে মাত্র ৫টি চারের মার ছিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২৩ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতক করেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৮৬ রানে। কোহলির রেকর্ডের দিনে প্রথম ইনিংসে ৫৭১ রান করে ভারত। স্বাগতিকদের লিড ৯১ রানের। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। অতি নাটকীয় কিছু না ঘটলে ড্র হতে যাচ্ছে আহমেদাবাদ টেস্ট। সে ক্ষেত্রে জুনে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত।
৩ উইকেটে ২৮৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। ১৫ ইনিংস পর অর্ধশতক করা ইংনিসটিকে নিয়ে যান শতকের ঘরে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ডানহাতি ব্যাটারের ৭৫তম সেঞ্চুরি এটি। এর আগে ৭৫ সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন ভারতের আরেক কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
তবে শচীনের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলে এই কীর্তি গড়েন কোহলি। ৭৫ সেঞ্চুরি করতে শচীনের যেখানে লেগেছিল ৫৬৬ ইনিংস। আর কোহলির লেগেছে ৫৫২ ইনিংস। দ্রুততম ৭৫ সেঞ্চুরির রেকর্ডও। এ ছাড়া দেশের মাটিতে ৪০০০ রান করা মাইলফলকও গড়েছেন তিনি। মাত্র ৭৭ ইনিংসে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এতে টপকে গেছেন ভারতীয় সাবেক দুই অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার (৮৭) ও রাহুল দ্রাবিড়কে (৮৮)।
রেকর্ড গড়ার পথে বেশ কয়েকটি জুটি গড়েন কোহলি। প্রথম ওপেনার শুভমান গিলকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ৮৪ রানের জুটি গড়েন উইকেটকিপার শ্রীকর ভারতকে নিয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে ১৬২ রানের জুটি লিড পায় ভারত।
শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতের সাবেক অধিনায়ককে। টড মারফির বলে ডিফ মিডউইকেটে কোহলি ক্যাচ লুফে নেন মারনাস লাবুশেন। এরপরই ৫৭১ রানে অলআউট হয় ভারত। ৩৬৪ বলে ১৮৬ রানের ইনিংসে চার ছিল ১৫টি।