বেশ কিছুদিন হলো অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছেন বিরাট কোহলি। ব্যাটার হিসেবে সফল হলেও অধিনায়ক কোহলিকে নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। কোহলির অধিনায়কত্বে বৈশ্বিক আসরে ট্রফি জিততে পারেনি ভারত। এ জন্য সফল অধিনায়ক হিসেবে খুব একটা ভোট পান না তিনি। তবে নিজেকে ট্রফি দিয়ে বিচার করতে নারাজ কোহলি।
পরিসংখ্যান বলছে, আইসিসির ট্রফি বাদ দিলে অধিনায়ক কোহলিকে সফল বলতে হবে। টেস্টে তার অধিনায়কত্বে ৬৮ ম্যাচের ৪০টিতে জিতেছে ভারত, যা ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাদা বলের ক্রিকেটেও কম যাননি অধিনায়ক কোহলি। ওয়ানডেতে তার অধীনে খেলা ৯৫ ম্যাচের ৬৫টিতে জিতেছে ভারত। ৫০ টি-টোয়েন্টির মধ্যে জয় পেয়েছে ৩০টিতে।
কোহলির নেতৃত্বে টানা ৪২ মাস আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল ভারত। কিন্তু শুধু ট্রফি দিয়ে নিজেকে বিচার করতে চান না কোহলি। তিনি বলেছেন, ‘২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা জিততে পারিনি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেছি, ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছি। এর পরও লোকে আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলে। দেখুন, আমি কখনোই নিজেকে ট্রফি দিয়ে বিচার করি না।’
এ সময় কোহলি আরও বলেন, ‘দল হিসেবে যা অর্জন করেছি, দলীয় সংস্কৃতির যে পরিবর্তন এসেছে এই সময়ে—এ বিষয়টিই গর্বের। যে কোনো টুর্নামেন্ট হয় নির্দিষ্ট কোনো একটা সময়ে, কিন্তু সংস্কৃতি গড়তে দীর্ঘ সময় লাগে। এর জন্য আপনার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। টুর্নামেন্টে জিততে আপনার যত দৃঢ়তা দরকার, এর জন্য আপনার তার চেয়েও বেশি দৃঢ়তা প্রয়োজন পড়ে।’
অধিনায়ক হিসেবে না পারলেও বিশ্বকাপ জিতেছেন কোহলি। ২০১১ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপের জিতেছেন শিরোপা। তাই নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে করেন ডানহাতি এই ব্যাটার, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমি ২০১১ বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছি। অনেক ক্রিকেটারই আছে, যারা কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। আমি যা জিতেছি, তা নিয়ে সন্তুষ্ট। সত্যি বলতে, ২০১১ বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে আমি ভাগ্যবান। যদি ক্যারিয়ারে ভুলগুলোর দিকে চোখ দিতে চাই, তখন আমি ক্যারিয়ারে কী সঠিক হয়েছে—সেদিকে নজর দিই এবং তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’