
ক্রাইস্টচার্চে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৯ উইকেট আর নিউজল্যান্ডের ২৫৭ রান। সুযোগ রয়েছে দুই দলেরই। তবে এরই মধ্যে টেস্টের সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম শতক। একই সঙ্গে তৃতীয় লঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন ৭ হাজার রানের মাইলফলক।
ডানহাতি এই ব্যাটারের শতকে নিউজিল্যান্ডকে ২৮৫ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৮ রান। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করেছিল ৩৫৫ রান।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারালেও মিচেলের শতক ও ম্যাট হেনরির অর্ধশতকে ৩৭৩ রান করে কিউইরা। ১৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ৩০১ রানে।
৩ উইকেটে ৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। শুরুর দিকে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার উইকেট হারায় তারা। তবে এরপর ম্যাথুজ ও দীনেশ চান্ডিমাল মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি।
৪২ রানে চান্ডিমালের আউটের পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন ম্যাথুজ। ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে অনেকটা একাই টেনেছেন ১১৫ রানের ইনিংস খেলা ম্যাথুজ। ক্যারিয়ারে ১৪টি টেস্ট শতকের ৯টিই দেশের বাইরে করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি তার দ্বিতীয় শতক।
তবে ম্যাথুজের বিদায়ের পর স্কোরটাকে আর বেশিদূর টানতে পারেননি লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। ৪২ রান তুলতে হারায় শেষ চার উইকেট। ডি সিলভা অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পাওয়া ব্লেয়ার টিকনার দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৪ উইকেট। অধিনায়ক টিম সাউদি নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫ ওভারের মধ্যেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১৬ বলে ৫ রান করা কনওয়েকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন কাসুন রাজিথা। এরপর আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি টম লাথাম ও কেন উইলিয়ামসন। লাথাম ১১ ও উইলিয়ামসন ৭ রানে অপরাজিত আছেন।