চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই মাঠে ১৪ ডিসেম্বর দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে। দুটি ম্যাচ খেলতে বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে থাকবে ভারত ও বাংলাদেশ দল।
তাই হোটেল থেকে মাঠে খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
মঙ্গলবার হোটেল র্যাডিসন থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়া শেষে পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকে যে নিরাপত্তা নেওয়া প্রয়োজন, সে ধরনের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব ও সোয়াতের পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট। এই সফরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এ সফর চলাকালে পুলিশের প্রায় দেড় হাজার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।’
সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে ও বোমা বিস্ফোরণের মতো জরুরি পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, সে বিষয়ের মহড়ায় মঙ্গলবার অংশ নিয়েছেন সিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা।
ওয়ানডে ও টেস্টের টিকিট প্রাপ্তিস্থান
একটি ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলতে ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের। বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আগামী ১০ ডিসেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। একই মাঠে ১৪ ডিসেম্বর টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে।
চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডের টিকিট পাওয়া যাবে ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বিটাক মোড় ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। অবিক্রিত থাকলে ১০ ডিসেম্বর ম্যাচের দিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বুথেও টিকিট পাওয়া যাবে।