নেপালের প্রয়োজন ১২ বলে ২২ রান। ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেডেনসহ শিকার করে উইকেট। শেষ ওভারে নেপালের দুই ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব আল হাসান।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটার ব্যর্থতা ঢেকে যায় বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম এক আসরে ৩ ম্যাচ জয় পেল টাইগাররা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রান করে বাংলঅদেশ।
এর আগে এত কম রান করে কখনোই জেতা হয়নি টাইগারদের। ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে অল আউট হয় নেপাল।
সেন্ট ভিনসেন্টে ব্যাট করা সহজ নয়। নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী কোনো দেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। এ ম্যাচে জিতলে হলে বিশেষ কিছু করতে হতে টাইগার বোলারদের।
সেটাই করলেন তানজিম হাসান সাকিব। তিন বলের ব্যবধানে শিকার করেন দুই উইকেট। প্রথমে তার ফুলটস মিস করে বোল্ড হন নেপালের ওপেনার কুশল। এক বল পর তুলে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন অনিল শাহ। জোড়া উইকেটের সঙ্গে মেডেন নেন তানজিম।
Bangladesh Nepal | ICC Men's T20 World CupBangladesh won by 21 runs Photo Credit: ICC/Getty#BCB #Cricket #BANvNEP #T20WorldCup pic.twitter.com/iZw7UoaeXE— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) June 17, 2024
পরে ওভারে নেপালের অধিনায়ক রোহিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন রিশাদ হোসেনের হাতে। তৃতীয় শিকারে উল্লাসে মাতেন তানজিম। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারে উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজুর রহমান। তার ফুললেংথে বলে কাভার ড্রাইভ করেন ওপেনার আসিফ শেখ। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ক্যাচ লুখে নেন সাকিব।
নিজের শেষ ওভারে চতুর্থ শিকার করেন তানজিম সাকিব। সেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সুন্দীপ জোরা। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। ডানহাতি এই পেসারের এটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক ইনিংসে দুই মেডেন নেওয়ার রেকর্ডও গড়েন তানজিম সাকিব।
এর পর কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং ঐরীর ৫২ রানের জুটিতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু মোস্তাফিজের ব্রেুক থ্রুতে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি নেপালের। বিশ্বকাপের প্রথম উইকেট পান সাকিব। তানজিমের ৪ উইকেট ছাড়াও মোস্তাফিজ ৩টি এবং তাসকিন ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন তানজিম।
এর আগে বাংলাদেশকে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে দেয়নি নেপালের বোলাররা। এ ছাড়া টাইগার ব্যাটারদের দায়িত্বহীন-কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে নজরে আসে অনেকের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে তৃতীয় ওপেনিং জুটি নামায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাসের সেই জুটির স্থায়ীত্ব মাত্র এক বল।
সোমপাল কামির প্রথম বলে উইকেট ছেড়ে মারতে এসে কট অ্যান্ড বল হন তানজিদ হাসান (০)। ফর্মহীনতা অব্যাহত রয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। অফ স্পিনার দীপেন্দ্র ঐরীর বলে বোল্ড হন তিনি। ৭, ১৪, ১ এবং ৪, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শান্তর চার ইনিংস।
একবার রিভিউ থেকে বেঁচেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি লিটন। সোমপাল কামির দ্বিতীয় শিকার তিনি। তাওহীদ হৃদয়ও সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। সাকিব আল হাসানের অদুরদর্শিতায় রান আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর সাকিবও আউট হয়ে যান। তাকে অনুসরণ করেন জাকের আলী অনিক ও তানজিম হাসান সাকিব। তবে বোলারদের কল্যাণে ম্যাচ জেতে ডি-গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন