বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট হিসেবেই খ্যাত মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। সেই হোমেই দীর্ঘ সময় পর ফিরেছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের ফেরাটা অবশ্য আরেকটু হলেই হতে যাচ্ছিল অস্বস্তির। তবে বোলাররা সেই অস্বস্তি দূর করে এনে দিল স্বস্তির এক জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও জয় তুলে নিল টিম টাইগার্স। অবশ্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও দারুণ এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি বোলারদের।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের ছোট্ট টার্গেটে স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ের পক্ষে জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩১ রান। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সল্প রানের টার্গেট দিয়েও জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ৩২ রানেই সফরবারীদের ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররাপ। ওপেনিংয়ে নামা ব্রায়ান বেনেট শূন্য রানে ফেরার পর সিকান্দার রাজা ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হন। দুটি উইকেটই নেন তাসকিন আহমেদ। মারুমানি ১৩ বলে ১৪ রান করে সাকিবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। ক্লাইভ মাদানদে ১২ রান করে রিশাদ হোসেনের শিকারে পরিণত হন। তখন ৪ উইকেটে ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৫৭।
এরপর ক্যাম্পবেল ও বার্ল মিলে দলের হাল ধরেন। তাদের দুজনের ৩৫ রানের জুটি জিম্বাবুয়েকে প্রাপ্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখায়। তবে একই ওভারে বার্ল ও লুক জঙ্গুইকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আইপিএল ফেরত মোস্তাফিজুর রহমান। বার্ল ২০ বলে ১৯ ও জঙ্গুই ১ রান করেন। এরপর ফেরত এসে ক্যাম্পবেলকেও ৩১ রানে আউট করেন কাটার মাস্টার।
এরপর জিম্বাবুয়ের ভাগ্য নির্ভর করছিল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওপর। তবে শেষ ওভারে সাকিবের অভিজ্ঞতা জিম্বাবুয়ের হাত থেকে একপ্রকার জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে শেষ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেন সাকিব আল হাসান। যার মধ্যে রয়েছে শেষ দুই বলে দুই উইকেট। ২৯৯ দিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে সাকিব নেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশের ওপেনাররা। বিনা উইকেটে ১০১ রানের পর যখন ২০০ রান টার্গেট দেওয়ার কথা সেখানেই নাটকীয় এক ধস। মাত্র ৪২ রানে শেষ ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে ওপেনার তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন