টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবেই বিবেচনা করা হয় নিউজিল্যান্ডকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের শিরোপাও জিতে নেয় তারা। তবে টেস্টে ভালো অর্জন থাকার পরেও একটি বিষয় নিয়ে আক্ষেপই থাকার কথা কিউইদের। সেই ১৯৩২ সাল থেকে টেস্ট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। তবে প্রায় এক শতক ধরে দেখা হলেও কখনোই কিউইদের কাছে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি কিউইরা। তবে এবার সেই আক্ষেপ ঘুচল নিউজিল্যান্ডের। ১৮ বারের চেষ্টায় অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল নিউজিল্যান্ড।
খর্বশক্তির দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হেসে খেলে জয়ের পরই ধারণা করা হয় পরের টেস্টও জিতবে উইলিয়ামসন-সাউদিরা। তবে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েও শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হ্যামিল্টন টেস্টে ৭ উইকেটে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এতে দুই ম্যাচের সিরিজে তারা ২-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়।
২৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডেভন কনওয়ের উইকেট হারালেও ৪০ রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এরপর শুক্রবার সকালে শুরুতেই ল্যাথামের উইকেট হারায় কিউইরা। তবে এরপর তেমন ঝামেলায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয় উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। সে জুটি ভাঙেন ডেন পিট। এরপর আর উইকেট হারায়নি কিউইরা। উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে অপরাজিত ১৫২ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দ্বিতীয় ইনিংসে শতক হাঁকানো উইলিয়ামসন।
ক্যারিয়ারের ৩২তম শতকের দেখা পেয়েছেন উইলিয়ামসন। আর শেষ সাত টেস্টে এটি তার সপ্তম শতক। শুধু তাই নয়, টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে উইলিয়ামসনের এটি পঞ্চম শতক। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খানকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। উইলিয়ামসন অপরাজিত ছিলেন ১৩৩ রানে, আর ইয়ং ছিলেন ৬০ রানে অপরাজিত।
দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ৯ উইকেট শিকার করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে উইলিয়াম ও’রুর্কের হাতে। তবে দুই টেস্টে তিন শতক করা কেইন উইলিয়ামসন জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
মন্তব্য করুন