চলমান বিপিএলে দারুণ সূচনা করেছিল খুলনা টাইগার্স। নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে নেয় এনামুল হক বিজয়। এরপরই ছন্দপতন ঘটে টাইগার্র বাহিনীর। টানা তিন হারে প্রতিযোগিতার পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে খুলনা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৫ উইকেটে হারের স্বাদ পেয়েছে এনামুল হকের দল।
শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এনামুল হক বিজয়ের ৬৭ রানের সুবাদে ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে খুলনা টাইগার্স। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভারে ১৫৯ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
খুলনার ১৫৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯ বলে ১৩ রানে বিদায় নেন সামিত প্যাটেল। নাজমুল শান্তকে নিয়ে ৫২ রানের দারুণ জুটি গড়েন আইরিশ অলরাউন্ডার হ্যারি টেক্টর। দলীয় ৬৫ রানের সময় ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে ঠিকই রানের গতি সচল রাখেন টেক্টর। শূন্যতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাকির হোসেনও। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া সিলেটকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন অধিনায়ক মিঠুন ও টেক্টর। ১০৭ রানের মাথায় ২৪ রানে বিদায় নেন সিলেট অধিনায়ক।
সিলেটকে জয়ের পথে রেখে ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন টেক্টর। ৫২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই আইরিশ অলরাউন্ডার। জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন। মাত্র ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। খুলনার হয়ে ১৯ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন মার্ক দেয়াল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালো সূচনা পায় খুলনা। পাওয়ার প্লেতে এভিন লুইসকে হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৬ রান জমা করে টাইগার্স বাহিনী। দলীয় ৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৪ রানে বিদায় নেন আফিফ। পরের ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় ফিরলে ৫৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় খুলনা।
চতুর্থ জুটিতে মাত্র ৬৭ বলে ৯৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এনামুল ও সোহান। এদিন আরও একবার খুলনার হাল ধরেন অধিনায়ক বিজয়। চলমান আসরে তৃতীয় ফিফটিও তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। তাকে সঙ্গ দেওয়া হাবিবুর রহমান সোহান ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩০ বলে ৪৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
মন্তব্য করুন