অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটতে চলেছে। বিসিসিআই, আইসিসি এবং পিসিবির উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
জানা গেছে, আইসিসি বোর্ডের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে নতুন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। বিসিসিআই, আইসিসি এবং পিসিবির মধ্যে কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আনুষ্ঠানিক আয়োজক থাকবে। তবে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে হাইব্রিড মডেলে। ১৫ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ, যার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান হাই-ভোল্টেজ ম্যাচও রয়েছে, আয়োজন করা হবে দ্বিতীয় কোনো দেশে, সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিসিসিআই কি পরবর্তীতে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসির অন্যান্য ইভেন্টের জন্য একই হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে একটি মধ্যম পন্থা বের করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিসিসিআই কোনো লিখিত নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয়, যা এই আলোচনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আগামী বছর ভারতের মাটিতে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, আগামী বছর পুরুষদের এশিয়া কাপের আয়োজনের কথাও রয়েছে ভারতে। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনকে জাতীয় মর্যাদার বিষয় হিসেবে দেখেছে, তাই হাইব্রিড মডেল মেনে নেওয়ার জন্য তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ২০২৭-৩১ চক্রে পাকিস্তানকে একটি আইসিসি নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি বরাবরই হাইব্রিড মডেলের বিরোধিতা করেছেন। তবে যদি চূড়ান্ত সমঝোতা হয়ে থাকে, তাহলে তার উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করা হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, পিসিবিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে।
এইসব সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য শনিবারের বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে।
মন্তব্য করুন