টেম্বা বাভুমার গ্লাভস ছুঁয়েই বল চলে যায় ফাইন লেগে। দৌড়ে তিন রান নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপনের জন্য তখন তৈরি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার এলবিডব্লুর রিভিউতে কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা বেড়েছিল বাভুমার। স্নিকোমিটারে গ্লাভসের সঙ্গে ব্যাটের ছোঁয়া স্পষ্ট হতেই প্রোটিয়াদের পুরো ড্রেসিংরুমেই উচ্ছ্বাস দেখা গেল।
স্ক্রিনে তাকিয়ে বাভুমাও স্বস্তির শ্বাস নিলেন। উইকেটের অপরপাশে থাকা সতীর্থ ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে জড়িয়ে উদযাপনের বাকিটুকু সেরে নিলেন। স্টাবসও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বাভুমার কিছুক্ষণ আগেই। দুজনের সেঞ্চুরিতে চড়ে স্কোর বোর্ডে রানের পাহাড় দাঁড় করায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের চা বিরতি শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬৬; স্কোর বোর্ডে লিড ৫১৫ রান।
প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের সামনে অসহায় আত্মসমর্থন করেছিল শ্রীলঙ্কা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ৪২ রানে অলআউটের লজ্জার রেকর্ডে ডুবেছিল তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা প্রোটিয়াদের শুরুটা ছিল দারুণ। দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ১৩২ রানে। তখনও উইকেটে ছিলেন বাভুমা ও স্টাবসই। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন উইকেটশূন্য কাটিয়ে দেন তারা। দুজনই সেঞ্চুরির পথ মসৃণ করে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যান। দ্বিতীয় সেশনে এসে শুরুতে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবস। ছোট্ট ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সঙ্গে ডারবানে ৬ বছর পর কোনো প্রোটিয়া ব্যাটার পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। সেঞ্চুরি ছোঁয়া উদযাপনও ছিল তার উচ্ছ্বাসিত।
স্টাবসের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক বাভুমাও। দুজনের ২৪৯ রানের জুটি ভাঙলে ফেরেন স্টাবস (১২২)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে এটি প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগেরটি ছিল ২৯২; হাশিম আমলা ও জেপি ডুমেনির। চা বিরতির আগের বলে ফেরেন অধিনায়ক বাভুমাও। ১১৩ রান করেন তিনি।
মন্তব্য করুন