একদিন আগেও কানপুর শহরের রোদের তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছিল—‘এত গরমে খেলবে কী করে।’ থার্মোমিটারে ৩০-৩২ ডিগ্রি দেখালেও অনুভূতি ছিল ৪০-এর ওপরে। ২৪ ঘণ্টা না যেতেই সকাল থেকে নেমে আসা তুমুল বৃষ্টিতে এখনকার পরিবেশ এখন পুরোপুরি বদলে গেছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এমন থাকতে পারে আরও তিনদিন। অর্থাৎ কানপুর টেস্টের প্রথম তিন দিনই চোখ রাঙাবে বৃষ্টি! বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রীন পার্কে ছিল ভারত দলের অনুশীলন। মাঠে এসে ওয়ার্মআপ করার পর নেটে খুব একটা ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ মেলেনি রোহিত শর্মাদের।
তার আগেই নেমে আসা বৃষ্টিতে কাভারে ডেকে দেওয়া হয় মাঠ। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গাম্ভীর ও রোহিত শর্মা কিছু সময়ের জন্য এসে উইকেট দেখে নিলেন। পাশাপাশি তৈরি করে রাখা দু উইকেটের মধ্যে প্রথমটি পা দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন ভারতের অধিনায়ক।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটটির ওপর দাঁড়িয়ে কয়েকবার ব্যাটিং শ্যাডো করলেন তিনি। শেষে গাম্ভীরের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরে গেলেন। বৃষ্টি বাধায় রোহিতরা অনুশীলনের সুযোগ না পেযে ফিরে গেছেন টিম হোটেলে। ভারত কিছুটা ওয়ার্মআপের সুযোগ পেলেও বাংলাদেশকে অনুশীলনের সুযোগই দেয়নি বৃষ্টি।
দেড়টার দিকে কানপুরে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ দলের টিম বাস। ড্রেসিরুম থেকে মাঠে এসে কয়েক মিনিটের মতো ওয়ার্মআপের সুযোগ মেলেছিল নাজমুল হোসেন শান্তদের। এরপর মুষলধারে নেমে আসা বৃষ্টিতে আর মাঠে নামা হয়নি তাদের।
শেষ পর্যন্ত ড্রেসিংরুম থেকে টিম হোটেলেই ফিরতে হলো দুই দলের খেলোয়াড়দেরই। একই সঙ্গে আবহাওয়ার বার্তাটাও পেয়ে গেলেন তারা। প্রায় ৩ বছর পর কানপুরে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে; সেখানেও বার বার বাগড়া দিতে যাচ্ছে বৃষ্টি—আবহাওয়া তো সে কথাই বলছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শুরু বাংলাদেশ–ভারত কানপুর টেস্ট। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
মন্তব্য করুন