ক্রিকেটের লম্বা ক্যারিয়ারে চাপকে সঙ্গী বানিয়ে চলেছেন সাকিব আল হাসান। গত দুই মাসে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া এক পোশাককর্মী হত্যা মামলার আসামী করা হয় তাকে।
৫ আগস্টের পর সাকিব আর দেশে ফিরেননি। দেশে ফিরলে সম্ভাবনা রয়েছে গ্রেপ্তারের। এতে চাপের মধ্যে মাঠে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। এরপর কাজটি সঠিক ভাবে করে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে অবসর ঘোষণা দেওয়ার সময় সাকিব বলেন, ‘পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। দেশে অনেক কিছু বদলে গেছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না।’
হত্যা মামলা হওয়ার পর নিজের কাজটা সঠিকভাবে করে গেছেন বলে মনে করেন তিনি, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে কেমন খেলছি, কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, পাকিস্তানে কেমন খেলছি। ভাগ্য ভালো ছিল, ভালো ফল করেছি, যেমন ফলাফল চেয়েছি।’
ঘটনার সময় দেশের না থাকার পরও তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। তা নিয়ে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘কঠিন, খুবই কঠিন। আমি কীভাবে (ফোকাস) রাখছি, এটা আল্লাহই জানেন। আমিও জানি না আসলে (হাসি)। যেটা বললেন যে একটা মামলা হয়েছে, আসলে সবারই অধিকার আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, এটা কেমন ধরনের মামলা ছিল কিংবা আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সুতরাং এ বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি বলতে চাই না।’
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শেয়ার বাজারে কারসাজির অভিযোগে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার জীবনে আমি আসলে নিজে থেকে কখনো ট্রেড করিনি, কেউ যদি এটা বলে—এ ট্রেডিং নিয়ে কথাও বলেছি, প্রমাণ দিলে আমি খুশি হব। এসব আসলে এখন যে কেউ যে কারোর মতো করতে পারে। এ জিনিসগুলো যদি সুন্দর করে বলত, আমার জন্য মানসিকভাবে ভালো হতো। কারণ, মিথ্যা অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না ভালো কিছু করে দেশের জন্য বাইরের মানুষের কাছে। আমি যেহেতু ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, স্বাভাবিকভাবে আমার ভুল করার বা ওটার সঙ্গে যে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে, সেটাও আমার জন্য দুঃখজনক।’
মন্তব্য করুন