টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলেও ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে(আইসিসি) দেওয়া প্রথম দলটির সদস্য ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। বিশ্বকাপে যাওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত; ঠিক তখনই সবকিছু বদলে গেল।
স্কোয়াডে একমাত্র পরিবর্তন হিসেবে বাদ পড়ে যান তিনি। তার জায়গায় সুযোগ মিলেছিল তানজিম হাসান সাকিবের। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। তাতে প্রশংসিতও হয়েছিল জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল।
দলে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচক মনে করেন সাইফউদ্দিনও। একই সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সেও উন্নতিতে মনোযোগের কথা জানিয়েছেন তিনি। আজ রোববার (৭ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেন ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব। ৭ ম্যাচে ৬.২০ ইকোনমিতে বোলিং করে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো পেসারের যা সর্বোচ্চ।
তরুণ এই পেসারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘দেখুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার তো শেষ নেই। ভালোর ওপরে তো ভালো আছে। চেষ্টা করব আরও ভালো করার। অবশ্যই আমি তাকে (সাকিব) এপ্রিশিয়েট করি। তানজিম সাকিব অসাধারণ খেলেছে (বিশ্বকাপে)। আমার সে কলিগ আবাহনীতে, আমরা একসঙ্গে খেলেছি।’
কেউ ভালো খেলবে, আবার কেউ খারাপ—সেসব চিন্তা না করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোযোগী সাইফউদ্দিন, ‘ক্রিকেটারদের কেউ ভালো খেলবে, কেউ খারাপ খেলবে। এটার জন্য খুব বেশি চিন্তা না করে কীভাবে আরও ভালো কিছু করা যায়, সেদিকে চেষ্টা করব। প্রত্যেক ক্রিকেটারের দিন যায় ওর দিনে ও (সাকিব) ভালো, আমার যখন দিন আসবে আমিও আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বয়সভিত্তিক থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অংশ সাইফউদ্দিন। এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার জন্য নতুন কিছু নয়। আগেও এমন পরিস্থিতি সামলেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এজন্য আসলে খুব বেশি খারাপ লাগে না। যখনই সুযোগ পাই ভালো খেলার চেষ্টা করি। অনুশীলনের ওপরেই থাকি।’
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্রিকেটার সংখ্যাও খুব বেশি নয়। এটাতে ইতিবাচক মনে করেন এই পেসার, ‘আমি যদি ফিট থাকি সুযোগ আসবে। অন্যান্য দেশে যদি দেখেন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু খুব কম সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় আছে ২০-২৫ জন, যতটুকু আমি মনে করি…।’
মন্তব্য করুন