স্কুল-মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসের অনাকাঙ্ক্ষিত সমাপ্তি

স্কুল-মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকসের অনাকাঙ্ক্ষিত সমাপ্তি

কাঙ্ক্ষিত সমাপ্তি হলনা শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার। তৃনমূল থেকে অ্যাথলেট খুঁজে বের করার এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বের সমাপনী দিন ছিল মঙ্গলবার। আর্মি স্টেডিয়ামে নানা অভিযোগে পুরস্কার প্রদান ছাড়াই শেষ করতে হয়েছে সমাপনী অনুষ্ঠান।

কেন্দ্র থেকে স্বীকৃতি টেকনিক্যাল স্টাফ না পাঠিয়ে তৃনমূল পর্যায়ের আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। যাদের এতো বড় ক্রীড়া যজ্ঞ পরিচালনার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই

বয়স সংক্রান্ত অভিযোগ তো ছিলই, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক বিভাগের অ্যাথলেট আরেক বিভাগে খেলানোর বিশৃঙ্খলা। এ বিষয়ক বেশি অভিযোগ খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন জানিয়েছে, দ্রুতই অভিযোগ নিষ্পত্তি করে প্রকৃত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

‘কিছু বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এক বিভাগের খেলোয়াড় আরেক বিভাগে খেলানোর অভিযোগ ছিল, নির্ধারিত বয়স নিয়েও আপত্তি ছিল। দ্রুতই অভিযোগ নিষ্পত্তি করে প্রকৃত বিজয়ীদের কাছে পুরস্কার পৌঁছে দেয়া হবে'— বলছিলেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু। নানা অসঙ্গতি নিয়ে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও ফেডারেশন কর্মকর্তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলার পর বিভাগীয় পর্যায়ে আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তৃনমূল থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসা ক্ষুদে ক্রীড়াবিদদের নিয়ে ঢাকায় বসেছিল দুই দিনের চূড়ান্ত পর্ব। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে শেষ হল আসরটি।

ন্যক্কারজনক এ ঘটনার দায় অবশ্য আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনেরও। কেন্দ্র থেকে স্বীকৃতি টেকনিক্যাল স্টাফ না পাঠিয়ে তৃনমূল পর্যায়ের আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। যাদের এতো বড় ক্রীড়া যজ্ঞ পরিচালনার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। এ প্রসঙ্গে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন খেলা আয়োজন করেছে। আমরা ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছি। চূড়ান্ত পর্যায়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে ফেডারেশন। প্রাথমিক পর্ব পরিচালনা করা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে উত্থাপিত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করব।’

প্রায় সাত কোটি টাকা বাজেটের আসরে সম্পৃক্ত ছিল কয়েক লাখ ক্ষুদে ক্রীড়াবিদ। যাদের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হতাশা পেছনে ফেলে অ্যাথলেটিকসে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা হচ্ছিল। স্বপ্নের এ আসরই এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com