ছাত্রদের নতুন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আমেরিকার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি এ স্ট্যাটাস।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, বড় মাপের কাজ করতে হলে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের উপর দেশের আর মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করতে হয়। ছাত্রদের নতুন প্লাটফর্মের সব পক্ষ যদি এই উদারতা দেখাতে না পারে, তার চেয়ে ট্রাজেডি আর কিছু হবে না। একটা অসাধারণ সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়ে পুরানো পলিটিশিয়ানদের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়াটা আত্মহত্যা করার মতো কাজ।
এর আগে আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, নাগরিক কমিটির উচিত ছিল অভ্যুত্থানের সঙ্গে থাকা সব তরুণদের নিয়ে একসঙ্গে একটা রাজনীতি তৈরি করা এবং সেই রাজনীতি যেন কোন ভাবেই ইসলামোফোবিক না হয়। মাদ্রাসা ছাত্রদের এবং শিবিরের যেন প্রোপার পার্টিসিপেশান থাকে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির বাইরে সারা দেশের যে তরুণ সমাজ তাদের যেন প্রপার পার্টিসিপেশান থাকে। তরুণদের বাইরে সিনিয়র যারা আছে তাদেরও সঙ্গে নেওয়া জরুরি।
তিনি আরও লেখেন,কিন্তু দুঃখজনকভাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি একটা গণতান্ত্রিক ইনক্লুসিভ পরিবেশ তৈরি করতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের বিশাল ভূমিকাকে প্রথম থেকেই ইগনোর করা হইছে। প্লাসের পরিবর্তে মাইনাস দিয়ে শুরু করছে তারা। জুলাই ফাউন্ডেশনের কাজ ছিল আহতদের সুচিকিৎসা মেইন্টেইন করা, তাদের নেতৃত্বে কাজটা ভালভাবে হয়নি। আগোছালোভাবে জুলাই প্রক্লেমেশানের যে দাবি তুলছিল, সেই কাজটাও সুন্দরভাবে শেষ করতে পারেনি।
মির্জা গালিব লেখেন, অভ্যুত্থানের সময় সাদিক-ফরহাদের যে অসাধারণ নেতৃত্ব ছিল, যে ভিশন ও ফিনিশিং ছিল, ক্লিয়ারলি তার অভাব দেখা যাচ্ছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে কাজ না করলে, যোগ্যতম লোককে পজিশন না দিলে নয়া রাজনীতির বন্দোবস্ত ভালভাবে দাড়ানো কঠিন। বিভেদ দিয়ে মহান কিছু হয় না। বেশি সংখ্যক মানুষের কালেক্টিভ ঐক্য দিয়েই একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণ হয়।
মন্তব্য করুন