
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের পক্ষ থেকে ৩১৮ জন তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ফ্রিল্যান্সারকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচিত এই ফ্রিল্যান্সারদের ল্যাপটপ প্রদান করা হলো।
ফ্রিল্যান্সারদের ল্যাপটপের পাশাপাশি সনদপত্রও দেওয়া হয়েছে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে।
আজ বুধবার আইসিটি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রিল্যান্সারদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
এ সময় পলক বলেন, “উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা চালিকা শক্তি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড পাঁচ লক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ‘ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ প্রদান করা হচ্ছে। আমি আশা করি, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যান্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করবে সফল ফ্রিল্যান্সাররা।”
দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে পলক আরও বলেন, ‘সফল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যদি উদ্যোক্তা হতে পারে তাহলে আরও লক্ষ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণরা চাকরির পেছনে ঘুরবে না; চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিদেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আইটি ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে, তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০ লক্ষ এবং এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ফান্ড থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সীড মানি এবং রকেট্রি, রোবটিক্স ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে এক কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদানসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কগুলো কো-ওয়ার্কিং স্পেস দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান পলক।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।