
বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে উন্নত করার লক্ষ্যে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রভাব নিয়ে হয়ে গেল ‘ক্যাটালাইজিং বাংলাদেশ’স এন্ট্রোপ্রেনিউরাল ইকোসিস্টেম’ শীর্ষক দিনব্যাপী সংকল্প সামিট ২০২৩।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০০টিরও বেশি অগ্রগামী স্টার্টআপ এবং চেঞ্জমেকারদের নিয়ে ভিশন ২০৪১-এর দিকে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সংকল্প ঢাকা সামিট ২০২৩-এর আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আবিষ্কার গ্রুপ এবং ইন্টেলক্যাপের সংকল্প উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি ইন্টেলক্যাপের বাংলাদেশ গ্রিন এন্টারপ্রাইজ ইকোসিস্টেম ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে তার সমর্থন এবং সম্পৃক্ততা ঘোষণা করেন।
প্রথম অধিবেশনে প্রেস মিটে আবিষ্কার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিনীত রায় কীভাবে গ্রুপটি ভারতে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসাগুলোকে প্রভাবিত করেছে সে সম্পর্কে বলেন। বিনীত রায় স্টার্ট আপের G20 টাস্কফোর্সের একজন সদস্য এবং এই অঞ্চলের স্টার্টআপ এবং উদ্যোগগুলো উন্মোচন করতে পারে এমন সীমাহীন সুযোগ সম্পর্কে কথা বলেছেন।
এ সময় ইন্টেলক্যাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়েশ ভাটিয়া কীভাবে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে পারে এবং কীভাবে স্টার্টআপগুলো ইন্টেলক্যাপ এবং সংকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া এই অঞ্চলে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি করতে ইন্টেলক্যাপ কীভাবে ব্যবসাকে স্কেল আপ করতে পারে তার ওপর আলোকপাত করেন।
সার্কুলার অ্যাপারেল ইনোভেশন ফ্যাক্টরি (CAIF) পরিচালক ভেঙ্কট কোটামারাজু, রপ্তানিযোগ্য শিল্পে তাদের প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য কী কী কাজ করছে, সে সম্পর্কে কথা বলেন। এই সামিটে CAIF তার অধিবেশনের মাধ্যমে এই সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোগের নাম উল্লেখ করেন।
তিনি বক্তব্যে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরেন যা আরএমজি সেক্টরে পরিবেশবান্ধব গ্রিন চেঞ্জকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করতে পারে। একটি গ্রিন এবং সার্কুলার চেঞ্জের জন্য দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা কী কী এবং কীভাবে তা সম্ভব করা যায়, বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে বাংলাদেশের অবস্থানকে উন্নীত করার লক্ষ্যে এই ইকোসিস্টেমকে একত্রিত করা এবং গড়ে তোলার বিষয়ে কথা বলেন।
সামিটে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং এর সংস্থাগুলো কীভাবে বাংলাদেশি ব্যবসাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে এবং অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলছে, সে সম্পর্কে বলেন এ টি এম তাহমিদুজ্জামান, এফসিএস, ডিএমডি অ্যান্ড সিএস, ইউসিবি পিএলসি এবং তানজিম আলমগীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউসিবিআইএল। দুজনই কীভাবে ব্যক্তি সক্ষমতা তৈরি করে আরএমজি সেক্টরকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্টার্টআপগুলোর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করা যায় সে বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্টার্টআপের তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন।