ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ইকমার্স ব্যবসায়ী তথা মার্চেন্টদের চাহিদা সাপেক্ষে ‘ইন্সটা পে’ এবং ‘এক্সপ্রেস শপ’ নামে নতুন দুটি সেবা নিয়ে আসছে ইকুরিয়ার। ইন্সটা পে সেবার আওতায় গ্রাহকেরা তাদের অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্চেন্ট তার টাকা পেয়ে যাবে। পাশাপাশি দোকানভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য ‘এক্সপ্রেস শপ’ এনেছে ই-লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানটি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই দুই সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরে ইকুরিয়ার।
ওই সময় ইকুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব ঘোষ রাহুল বলেন, ‘ইন্সটা পে সেবায় আমরা মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই), অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এমএসএমই) এবং কটেজ এসএমই উদ্যোক্তাদের চাহিদা বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি যারা ফেসবুক কেন্দ্রিক ব্যবসা করেন, যেটিকে আমরা এফ-কমার্স বলে থাকি, তাদের জন্যও দারুণ এক সেবা হতে পারে ইন্সটা পে। এ ধরনের ব্যবসায়ীরা অতি স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করেন এবং তারা মূলত ক্যাশ অন ডেলিভারিতে (সিওডি) পণ্য বিক্রি করেন। তাদের পণ্য গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করে যে অর্থ পাওয়া যায় সেটি মার্চেন্টের কাছে পৌঁছে দিতে কখনো কখনো এক সপ্তাহ সময়ও প্রয়োজন হয়। এটা তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা কারণ তাদের হাতে টাকা থাকে না। তারা যদি পণ্য ডেলিভারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে যান তাহলে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ আর পুনঃবিনিয়োগ নিয়ে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। আমরা ইন্সটা পে এর মাধ্যমে ঠিক এই সমস্যারই সমাধান করব।
এক্সপ্রেস শপ নিয়ে বিপ্লব বলেন, ‘দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত আমরা চার শতাধিক দোকানভিত্তিক ব্যবসায়ীদেরকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করেছি। লজিস্টিকস খাতে স্বল্প মূল্যে জেলা পর্যায়ের বাইরে যেমন উপজেলা, উপশহর, গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়া এখনও খুব কঠিন। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতে এখনও সাধারণ মানুষের একটি অনাস্থার জায়গা রয়েছে কিন্তু সেই একই মানুষটি আবার তাদের আশেপাশের দোকান ব্যবসায়ীদের প্রতি আস্থা রাখে; বিশেষ করে মফস্বল এলাকায়।
‘সেই দোকান ব্যবসায়ীদের আমরা ডিজিটাল খাতে অন্তর্ভুক্ত করছি। এর ফলে তাদের ব্যবসা সুযোগ আরও বাড়বে কারণ তাদের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চলে আমরা একাধিক সেবা পৌঁছে দিতে পারব।
সংবাদ সম্মেলনে ইকুরিয়ারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ডট লাইনের গ্রুপ চিফ মার্কেটিং অফিসার মুনতাসির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চারপাশে উদ্যোক্তা তৈরি করা নিয়ে প্রচুর কাজ হতে দেখি কিন্তু একবার উদ্যোক্তা তৈরি হয়ে গেলে তার কথা ভুলে যাই। তার প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখে তাকে যে এগিয়ে নিতে হবে সে বিষয়টি গুরুত্ব পায় না। এমন বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ। উদ্যোক্তাদের বড় হতে দিতে হবে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ইকুরিয়ারও বড় হবে।’