
টিকটক তাদের প্ল্যাটফর্মে যে কোনো ভিডিও নিজেই ভাইরাল করতে পারে। অর্থাৎ কোনো ভিডিওর ‘ভিউ’ তথা ভিডিওর দর্শক সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারে খোদ টিকটক কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
ফোবর্সকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কখনো কখনো প্রতিষ্ঠিত তারকা এবং উঠতি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও নিজেরাই ভাইরাল করে থাকে টিকটক।
টিকটকের ‘হিটিং’ বাটনের মাধ্যমে কোনো ভিডিও ‘ফর ইউ’ পেজে দিয়ে অধিকসংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে সেটি ভাইরাল করা যায়।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জেমি ফাবাজা ফোর্বসকে বলেন, কোনো নির্দিষ্ট কনটেন্টের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য দিতে একাধিক কনটেন্ট ‘প্রমোট’ করে থাকে টিকটক। তবে এটি মাত্র ০.০২ শতাংশ ভিডিওর ক্ষেত্রে করা হয় বলেও জানান জেমি।
তবে ‘হিট’ করা ভিডিওগুলো যে ‘প্রমোট’ বা ‘বুস্ট’ করা সেটি সাধারণ ব্যবহারকারীরা দেখতে পারেন না; যেমনটা দেখা যায় ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে।
টিকটকের এমন পদক্ষেপে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘ভালো বোঝাপড়া’ না থাকে তাহলে সেই ব্র্যান্ড ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করেও ব্যবসায়িকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে কোন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিওতে বেশি ভিউ হবে সেটি টিকটক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকায় ক্ষুব্ধ হতে পারেন ক্রিয়েটররাও।