ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো এখন হোয়াটস অ্যাপেও স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে।প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকবে সেই স্ট্যাটাস। স্ট্যাটাসে দেওয়া যাবে ছবি, ভিডিও, গিফ ফাইল, টেক্সট এবং আরও বেশ কয়েক ধরনের কনটেন্ট।
এই স্ট্যাটাস এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে নিরাপদ এবং চাইলে সেটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর মধ্যে বিনিময় করা যাবে বলেও জানিয়েছে হোয়াটস অ্যাপের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য এবং পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা চালু করে হোয়াটস অ্যাপ। যখনই কোনো ব্যবহারকারী তার হোয়াটস অ্যাপে স্ট্যাটাস দেবেন করবেন তখন অন্য ব্যবহারকারীরা তার নামের পাশে একটি ‘রিং’ দেখতে পাবেন। চ্যাট লিস্ট, গ্রুপ চ্যাটের মতো স্থানগুলোতে এই রিং দেখা যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা একে অপরের প্রকাশিত নতুন স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ব্যক্তিগত দর্শক নির্বাচন
হোয়াটস অ্যাপ নম্বর কারও কাছে থাকলেই তিনি ওই নম্বরের ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন বিষয়টি এমন নয়। হোয়াটস অ্যাপ এ ক্ষেত্রে দর্শক নির্বাচনের সুযোগ রেখেছে ব্যবহারকারীদের জন্য। অর্থাৎ হোয়াটস অ্যাপে স্ট্যাটাস প্রকাশ করা হলে সেটি কারা দেখতে পারবেন ব্যবহারকারী নিজেই সেই দর্শক নির্বাচন করে দিতে পারবেন। ফলে হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসের গোপনীয়তা বজায় থাকবে।
ভয়েস স্ট্যাটাস
স্ট্যাটাস হিসেবে টেক্সট, ছবি বা ভিডিওর পাশাপাশি ভয়েস রেকর্ডিংও ব্যবহার করা যাবে। সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডের ভয়েস রেকর্ডিং স্ট্যাটাস হিসেবে দেওয়া যাবে। যারা টাইপিংয়ের চেয়ে ভয়েস মেসেজ দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন।
স্ট্যাটাস রিঅ্যাকশন
কারও প্রকাশ করা স্ট্যাটাসে খুব সহজেই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। স্ট্যাটসা ওপরের দিকে ঠেলে দিয়ে (সোয়াইপ আপ) এবং আট ধরনের ইমোজি রিঅ্যাকশন দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন খুব সহজেই। পাশাপাশি টেক্সট, ভয়েস মেসেজ, স্টিকার এবং অন্যান্য উপায়েও স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে।
লিংক প্রিভিউ
স্ট্যাটাসে কোনো লিংক প্রকাশ করা হলে সেটির একটি ‘প্রিভিউ’ দেখাবে হোয়াটস অ্যাপে। প্রিভিউয়ের মাধ্যমে অন্য ব্যবহারকারীরা সেই লিংক সম্পর্কে সহজেই একটি ধারণা পাবেন।